একদিকে করোনার দাপট। তার সঙ্গে দোসর হয়েছে মিউকরমাইকোসিস। বর্তমানে তা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নামেই পরিচিতি পেয়েছে। আর এই রোগই নতুন করে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে বাংলা জুড়ে। স্বাস্থ্য় দফতর সূত্রে খবর, বুধবার নতুন করে সন্দেহভাজন উপসর্গ আরও ৫জনের শরীরে পাওয়া গিয়েছে। এনিয়ে তালিকা বেড়ে দাঁড়াল ১১জন। ইতিমধ্যেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ ছিল এমন ৩জন রোগীর মৃত্য়ু হয়েছে।
কিন্তু কীভাবে এই কৃষ্ণ ছত্রাকে আক্রান্ত হচ্ছেন একের পর এক রোগী।? চিকিৎসকদের একাংশের মতে, করোনা আক্রান্তদের সুস্থ করতে একধরণের স্টেরয়েড ব্য়বহার করা হয়। এই স্টেরয়েডের জেরে শরীরে শর্করার পরিমাণ বাড়তে পারে। এদিকে সেই অবস্থায় রোগী যদি স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় থাকেন তবে তাঁর শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ব্ল্য়াক ফাঙ্গাস। পরিস্থিতি এমন জায়গায় যায় যে চোখ, নাক ও মুখের অন্য় অংশ কেটে বাদ দিতে বাধ্য হন চিকিৎসকরা। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও এভাবে একজন রোগিণীর চোখ কেটে বাদ দিতে হয়েছে। তাঁর প্রাণ বাঁচানোর জন্যই তাঁর চোখ বাদ দিতে বাধ্য হন চিকিৎসকরা। এমনকী পরিস্থিতি এমন জায়গায় যাচ্ছে যে মৃত্য়ু পর্যন্ত হচ্ছে একাধিক রোগীর। এটাই ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদের। তবে সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুসারে শুধু বাংলা নয়, গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে এই ধরণের রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। গোটা দেশে এই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১১ হাজার।