কলেজের অধ্যক্ষ পদের জন্য প্রচুর পরিমাণে আবেদন জমা পড়েছে। এখনও পর্যন্ত শ'খানেক আবেদন পত্র কলেজ সার্ভিস কমিশনে (সি এস সি) জমা পড়েছে। যা নজিরবিহীন বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। কারণ অতীতে কলেজের অধ্যক্ষ হওয়ার জন্য খুব বেশি আগ্রহ দেখা যেত না। রাজ্য সরকারের টাকায় চলা ডিগ্রী কলেজে আছে ৫৫০ টি। কিন্তু ১০ বছর আগে সমস্ত কলেজে অধ্যক্ষ ছিলেন না। ফলে ওই সমস্ত কলেজগুলিতে টিচার ইনচার্জ বা ভাইস প্রিন্সিপালরা কলেজের প্রশাসনিক কাজকর্ম চালাছিলেন।
কলেজ সার্ভিস কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১০ মে থেকে কলেজের অধ্যক্ষ পদে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। তা চলবে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত। তবে ১৩ দিনের মধ্যেই যেভাবে অধ্যক্ষ পদের জন্য আবেদন জমা পড়েছে তাতে বিস্মিত আধিকারিকরা। অতিরিক্ত বেতন এবং ভাতা দেওয়া সত্বেও এক সময় কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ করা যেত না। এই পদের জন্য তীব্র অনীহা দেখা যেত। কিন্তু হঠাৎ করে অধ্যক্ষ হওয়ার আগ্রহ কেন বাড়ল সে প্রসঙ্গে কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক দীপক কর জানান, আগে কলেজের ছাত্র নির্বাচন ঘিরে অশান্তি দেখা দিত ।তাছাড়া স্নাতকে ভর্তির জন্য অধ্যক্ষদের চাপ সামলাতে হতো। তবে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে অনলাইনে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। তাছাড়া ছাত্র নির্বাচন বন্ধ রয়েছে। এই সমস্ত কারণেই অধ্যক্ষ হওয়ার জন্য আগ্রহ বাড়ছে বলে মনে করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, অধ্যক্ষ পদে এখন অবসরে সময়সীমা ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ করা হয়েছে। এবার শুধু কলেজের শিক্ষক বা বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাই নন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরাও অধ্যক্ষ হওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, অধ্যক্ষ হওয়ার জন্য স্নাতকোত্তরে ৫০ শতাংশ নম্বর থাকার পাশাপশি পিএইচডি এবং ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এছাড়া, গবেষণায় ১০ টি প্রকাশিত পেপার থাকতে হবে। তবেই অধ্যক্ষ হওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে।