বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Letter Box: উচ্চশিক্ষায় টাকা নিয়ে চিন্তা? চিঠি লিখুন, লেটার বক্স খুলছে শিক্ষাদফতর, নির্দেশ মমতার

Letter Box: উচ্চশিক্ষায় টাকা নিয়ে চিন্তা? চিঠি লিখুন, লেটার বক্স খুলছে শিক্ষাদফতর, নির্দেশ মমতার

কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (PTI Photo)  (PTI)

বাংলার বহু ছাত্রছাত্রীর অর্থের অভাবে পড়াশোনা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। এরপর কীভাবে আগামী দিনে এগোবেন তারা তা নিয়ে নানা সংশয় তৈরি হয়। তবে তাঁদের পাশে থাকতে বড় আশ্বাস দিলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী।

মাধ্যমিকে, কিংবা উচ্চমাধ্যমিকে নজরকাড়া রেজাল্ট। কিন্তু অনেকেরই আশঙ্কা থাকে উচ্চশিক্ষা কি সম্ভব? আসলে সবথেকে বড় প্রতিবন্ধকতা তাদের কাছে, টাকা পয়সার অভাব। এবার তাদের জন্য় আশার কথা শোনালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

উচ্চশিক্ষা কীভাবে হবে তা নিয়ে কি চাপে রয়েছেন? কীভাবে এত খরচ জোগাড় করবেন তা নিয়ে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে? এবার সেই পড়ুয়াদের পাশে থাকার কথা জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দিলেন, শিক্ষা দফতরকে এনিয়ে লেটার বক্স খুলতে হবে। যদি উচ্চশিক্ষার জন্য কারোর টাকার প্রয়োজন হয় তবে তার পাশে দাঁড়াবে রাজ্য সরকার। শুধু আবেদনপত্রটা পৌঁছে দিতে হবে সরকারের কাছে। আর সেজন্যই লেটার বক্স খোলার নির্দেশ দিলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী।

বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, বাবা মাকে জমি বিক্রি করে গ্যারান্টার হতে হবে না। রাজ্য সরকারই আপনার গ্যারান্টার হবে। রাজ্য সরকারই টাকা জোগাড় করে দেবে। আপনারা শুধু আবেদনপত্র পৌঁছে দেবেন। জানিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।

নিঃসন্দেহে বড় আশ্বাস। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বাংলার বহু ছাত্রছাত্রীর অর্থের অভাবে পড়াশোনা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। এরপর কীভাবে আগামী দিনে এগোবেন তারা তা নিয়ে নানা সংশয় তৈরি হয়। তবে তাঁদের পাশে থাকতে বড় আশ্বাস দিলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। শিক্ষা দফতরের কাছে আবেদনপত্র পৌঁছে দিলেই ব্য়বস্থা নেবে সরকার। এমনটাও জানানো হয়েছে।

মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্য়ের দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীরা যাতে কোনওভাবেই প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে না পড়েন সেজন্য কেন্দ্রের নিয়ম মেনে ৪ বছরের স্নাতক কোর্স চালু করা হচ্ছে। তাঁর মতে যদি অন্যান্য রাজ্য চালু করে ও আমরা না করি তাহলে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা পিছিয়ে যাবে।

এদিকে চারবছরের স্নাতক কোর্স নিয়ে মুখ খুলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। তিনি জানিয়েছিলেন, ৪ বছরের স্নাতক কোর্স চালু না করলে রাজ্যের বহু ছাত্রছাত্রী প্রতিযোগিতার বাজারে সমস্যায় পড়বে। যাদের আর্থিক সামর্থ্য রয়েছে তারা অন্যান্য রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টেক্কা দিতে আইসিএসই ও সিবিএসই বোর্ডের অধীনে চলে যেতে পারে। কিন্তু যাদের আর্থিক সামর্থ্য নেই তারা তিন বছরের স্নাতক ও ২ বছরের স্নাতকোত্তর কোর্স করে পিছিয়ে পড়তে পারে। জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।

তবে এবার উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যাতে আর্থিক সমস্যাটা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে না পারে তার জন্য় বড় নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

 

বন্ধ করুন