বিজেপির তরফে প্রথম থেকেই অভিযোগ করা হয়েছিল যে কাশীপুরের বিজেপি যুব মোর্চার নেতা অর্জুন চৌরাসিয়াকে খুন করা হয়েছে। এবং তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছিল গেরুয়া শিবিরের তরফে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজে এসে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছিলেন এই ঘটনায়। অপরদিকে রাজ্যের শাসকদলের তরফে বিজেপির যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই আবহে আদালতের নির্দেশে রাজ্য সরকার পরিচালিত হাসপাতালের বদলে অর্জুনের দেহের ময়নাতদন্ত হয় কমান্ড হাসপাতালে। সেই ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে এল।
রিপোর্ট অনুযায়ী ময়নাতদন্তে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে যে অর্জুন আত্মহত্যাই করেছিলেন। খুনের কোনও ইঙ্গত প্রাথমিক রিপোর্টে মেলেনি। ময়নাতদন্তে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, অর্জুন চৌরাসিয়ার দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। কোনও ধস্তাধস্তির চিহ্ন মেলেনি অর্জুনের দেহে। এর থেকে প্রাথমিক ভাবে খুনের কোনও প্রমাণ বা চিহ্ন মিলছে না।
গতকাল সকাল সাড়ে আটটা থেকে ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয় কমান্ড হাসপাতালে। কমান্ড হাসপাতালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এই ময়নাতদন্ত হয়। ময়নাতদন্তের সময় উপস্থিত ছিলেন কল্যাণী এইমস-এর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং আরজি কর হাসপাতালের ফরেনসিক সায়েন্স বিভাগের প্রধানও। গোটা ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না অর্জুন চৌরাসিয়াকে। শুক্রবার সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় কাশীপুরের রেলের পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে৷ অর্জুনকে খুন করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে দিনভর সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হন তাঁর পরিবার এবং বিজেপি৷ কমান্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্তের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় মৃতের পরিবার৷ সেই আবেদনে সম্মতি জানায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷ সেই মতো গোটা মনয়াদন্ত প্র্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।