শিয়ালদায় বৈঠকখানা রোডে অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশ। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কর্তারা অভিযান চালিয়ে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে একেবারে ঘিঞ্জি এলাকায় এই আগ্নেয়াস্ত্র এল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এসটিএফ গোটা এলাকাটি ঘিরে ফেলে অভিযান চালায়। এদিকে ব্যবসায়ীরাও গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত। সুরেন্দ্রনাথ কলেজের কাছেই এই অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, এসটিএফের কাছে খবর গিয়েছিল যে বৈঠকখানার রোডের ওই নির্দিষ্ট এলাকায় অস্ত্র মজুত করা হয়েছে। এরপরই সেখানে আসে এসটিএফের গোয়েন্দারা। এরপর তারা কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। কয়েকটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে বলেও খবর।
সূত্রের খবর, সন্ধ্যাবেলাতেই গোয়েন্দা বিভাগের কাছে খবর গিয়েছিল যে আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করা হয়েছে। এরপরই এলাকায় পুলিশ চলে আসে। দুজনকে আটক করা হয়। এবার প্রশ্ন তবে কি অস্ত্র কেনা বেচার জন্য এখানে জড়ো করা হয়েছিল? নাকি অন্য কোনও কারণে এখানে অস্ত্র রাখা হয়েছিল।
আপাতত প্লাস্টিকের কন্টেনারে এই অস্ত্রগুলি রেখেছে পুলিশ। কয়েকটি কার্তুজও মিলেছে। সামনেই রাজ্যের একাধিক কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার আগে এই ঘটনার জেরে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কাছেই শিয়ালদা স্টেশন।
সূত্রের খবর, মুঙ্গের থেকে কলকাতায় অস্ত্র আসছে বলে পুলিশের কাছে খবর আসে। বৈঠক খানা রোডে এই অস্ত্র হাতবদলের কথা ছিল। সেই মতো সাদা পোশাকে পুলিশ এলাকায় চলে যায়। এরপরই পুলিশ এই অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করে।
সব মিলিয়ে পাঁচটি অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।
৭ এমএম দুটি, সিঙ্গল শটার ৩টি রয়েছে। ৯০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর এসেছিল কলকাতা পুলিশের এসটিএফের কাছে। এরপরই বড় সাফল্য পেল পুলিশ। বিহারের মুঙ্গের থেকে ওই অস্ত্র আনা হয়েছিল বলে অভিযোগ। একজনকে আটক করা হয়। ওই ব্যক্তি রাজাবাজার এলাকায় থাকে বলে খবর।
এর আগে ২০২১ সালে মালদহের কালিয়াচকে অস্ত্র ভাণ্ডারে হদিশ মিলেছিল।কারখানা থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র। একটি বাড়িতে তৈরি হচ্ছিল উন্নতমানের পাইপগান সহ অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র। কলকাতা এসটিএফ ও কালিয়াচক থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। অস্ত্র ছাড়াও উদ্ধার হয়েছিল অস্ত্র তৈরির যন্ত্র ও কার্তুজ।
ধৃত দু’জন বিহারের মুঙ্গের এলাকার হওয়ায় বড় বেআইনি অস্ত্র পাচার চক্র পিছনে রয়েছে বলে অনুমান করেছিলেন এসটিএফ কর্তারা। পুলিশ সূত্রে খবর, কালিয়াচক থানার পুলিশ ও এসটিএফ যৌথ অভিযান চালায় আলিপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কবরী চাঁদপুর গ্রামে। কারখানাটি থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামও উদ্ধার হয়। নাইন এমএম পিস্তল–সহ রাইফেল তৈরি হত এই কারখানায়। উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম দেখে এমনই অনুমান করা হয়েছিল।