দুজনেই ইডির হেফাজতে। একজন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অপরজন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তার ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়েছে কোটি কোটি টাকা, সোনার গহনা। এদিকে ইডির হেফাজতে থাকাকালীন কখনও ব্ল্যাক কফি, কখনও আবার ড্রাই ফ্রুট খেতে চেয়েছেন অর্পিতা। তাতে বিশেষ কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু প্রাক্তন মন্ত্রীর আবদার, রুটি নয়, ভাতই দিতে হবে। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সুগার রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সুগার বেড়ে গেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এদিকে ইডির আধিকারিকদের কথাও শুনতে চাইছেন না তিনি। অগত্যা এগিয়ে এলেন অর্পিতা। কার্যত অভিভাবকের মতোই।
সূত্রের খবর, ভাত খাওয়ার জেদ ধরেছিলেন পার্থ। নানা চেষ্টা করেও পার্থর জেদ ভাঙাতে পারছিলেন না ইডির দুঁদে আধিকারিকরাও। শেষ পর্যন্ত তাঁরা অর্পিতাকে বিষয়টি জানান। এরপরই সামনে আসেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তারপরই সেই মিষ্টি ধমক। আর কাজ হল তাতেই।
কার্যত অভিভাবকসুলভ দৃষ্টিভঙ্গিতে তিনি পার্থকে বোঝান বর্তমান পরিস্থিতিতে ভাত খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে সমস্যা হতে পারে। এরপরই অল্প ভাত খাওয়ার ব্যাপারে রাজি হন পার্থ। স্বস্তি ফেরে অবশেষে। এর সঙ্গেই প্রশ্ন উঠছে, বাস্তবে কে কার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতেন? নাকি দুজনের মধ্যে বোঝাপড়াটা এতটাই ভালো যে একে অপরের কথা শোনেন এখনও?
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারের এই ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে। আর তার সঙ্গে চর্চা চলছে জোকা হাসপাতালের বাইরে অর্পিতার কান্নাকাটি। এর সঙ্গেই পার্থর জবাব, ষড়যন্ত্র হয়েছে। কারা সেই ষড়যন্ত্রের শরিক তা নিয়ে অবশ্য তিনি কিছু জানাননি।