রোজ টিভি - খবরের কাগজ ছেয়ে রয়েছে মেয়ের কাণ্ডকারখানায়। কোটি কোটি টাকা, একের পর এক সম্পত্তি উদ্ধার হচ্ছে মেয়ের নামে। আর শহরের এক কোণে বসে স্তব্ধ হয়ে সব দেখছেন মা। তাঁর বাহুল্যহীন জীবনে যে এমন বিপর্যয় আসবে তা হয়তো দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি অর্পিতার মা মিনতি চট্টোপাধ্যায়।
মেয়েকে নিয়ে কোনও রাখঢাক করেননি মিনতি মুখোপাধ্যায়। বলেন, বেশ কয়েক বছর হল ওদের বাবা মারা গিয়েছে। দুই বোন। ছোটটাকে বিয়ে দিয়েছি। ও কথা শুনল না। ওর বাবার কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি করতেন। সেই চাকরিটা পেত। কিন্তু তাও করল না।
মিনতিদেবী বলেন, মেয়ে কোনও দিন এক পয়সা দেয়নি। ওর বাবার পেনশনের পয়সায় চলে। জানতাম সিনেমা সিরিয়ালে অভিনয় করে। প্রযোজনা সংস্থায় যুক্ত। কিন্তু এসবের কিছুই জানতাম না।
বরানগরের দেওয়ানপাড়ার পুরনো বাড়িতে কার্যত এক কামরাতেই বাস মিনতিদেবী। চলাফেরার ক্ষমতা খুব একটা নেই। বিছানাতেই কাটে গোটা দিন। সেখানে বসেই তিনি বললেন, ‘একাই থাকি। কখনো মেয়ে আসে খোঁজ নিতে। মাঝে মাঝে আত্মীয়দের বাড়িতে বেড়াতে যাই। এভাবেই কাটে।’
তাঁর স্পষ্ট কথা, ‘মেয়ের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যোগাযোগ সম্পর্কে কিছু জানতাম না। টাকা পয়সার ব্যাপারটাও অজানা ছিল। আমি চাই ও দোষী হলে শাস্তি হোক। কিন্তু মা হয়ে দায়িত্ব আছে ওর পাশে থাকার। জানতে হবে, সব সত্যি কি না।’ নির্লিপ্ত মুখে বলে যান সত্তরোর্ধ বৃদ্ধা।