আজ, শুক্রবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। আজ আবার আদালতে তোলা হবে পার্থ–অর্পিতাকে। পার্থ–অর্পিতাকে জেল হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানাবে ইডি বলে সূত্রের খবর। তদন্তে অর্পিতা সহযোগিতা করলেও সহযোগিতা করেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলে ইডি সূত্রে খবর। তবে অর্পিতা হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের জানান, যা স্টেটমেন্ট দেওয়ার দিয়েছি।
ঠিক কী বলেছেন অর্পিতা? এদিন জোকা ইএসআই হাসপাতাল থেকে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। অর্পিতা টাকাটা কার? এত সম্পত্তি কি আপনার? জবাবে অর্পিতা বলেন, ‘ইডি–কে যা স্টেটমেন্ট দেওয়ার দিয়েছি।’ এরপরই কান্নায় ভেঙে পড়েন অর্পিতা। সূত্রের খবর, পার্থ–অর্পিতাকে জেল হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানাবে ইডি। তদন্তে অর্পিতা সহযোগিতা করলেও, অসহযোগিতা করেছেন পার্থ বলে আদালতে জানানো হবে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস জানতে মুখোমুখি জেরা করা হয় অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। যদিও সেখানে অর্পিতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা অস্বীকার করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তথ্যপ্রমাণের সঙ্গে বাস্তব মিলছে না পার্থর বয়ান অনুযায়ী। জেরায় তথ্য গোপনের চেষ্টা করছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। আজ পার্থ–অর্পিতাকে আদালতে তোলা হলে এই তথ্য জানানো হবে বলে ইডি সূত্রে খবর।
কে, কী বলেছেন ইডিকে? ইডি সূত্রে খবর, গত বুধবারও আদালতে যাওয়ার পথে অর্পিতা বলেন, ‘টাকা আমার অজান্তে, আমার অনুপস্থিতিতে ফ্ল্যাটে ঢোকানো হয়েছে।’ আর অর্পিতাকে দেখিয়ে পার্থকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তাঁকে চেনেন কিনা। জবাবে পার্থ জানান, ‘না, তেমনভাবে চেনেন না। অনেকেই আমার কাছে আসেন। অর্পিতাকে সেভাবে মাঝে–মধ্যে দেখেছেন।’ তারপরই পার্থকে প্রশ্ন করা হয়, ‘অর্পিতা কি আপনার ক্লোজ?’ এই তথ্য অস্বীকার করে পার্থ বলেন, ‘নাকতলার পুজোয় দেখেছি।’ অর্পিতার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের কথা জানেন? জবাবে পার্থ বলেন, ‘শুনেছি। তবে ওই টাকা আমার নয়। টাকা কার সেটা জানি না।’