অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল ২০টি ফোন। সূত্রের খবর, তার মধ্যে তিনটি ফোন ব্যবহারই করা হয়নি। একেবারে ঝকঝকে নতুন। উদ্ধার হওয়া ফোনের নানা তথ্য মিলিয়ে দেখছেন ইডির আধিকারিকরা। আর সেই সব তথ্যকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে নানা রহস্য।
সূত্রের খবর, একটি ফোনের নম্বরের হোয়াটস অ্যাপ ডিপিতে দেখা গিয়েছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ছবি। মোটামুটিভাবে বোঝা গিয়েছে সেটি অর্পিতা ব্য়বহার করতেন। সেই হোয়াটস অ্যাপ ডিপিতে লেখা রয়েছে, এভরিথিং ইজ পসিবিল। Everything is possible। একেবারে ইতিবাচক মনোভাব। সব কিছুই সম্ভব। কিন্তু কী সম্ভব? ঠিক কী সম্ভব করাতে চাইছিলেন অর্পিতা? তবে কি কেরিয়ারের আরও উন্নতির কথা ইঙ্গিত করা রয়েছে? এসব নিয়ে নানা জল্পনা ছড়িয়েছে। অনেকের মতে, বাস্তবিকই সাধারণের চোখে যা অসম্ভব, সেটা তো কার্যত সম্ভবই হয়েছিল অর্পিতার জীবনে।
সেই হোয়াটস অ্যাপ ডিপিতে রয়েছে একটি চোখে হৃদয়ের ছবি। সেই হোয়াটস অ্যাপ ডিপি নিয়েও কৌতুহলের অন্ত নেই। আসলে পার্থ-অর্পিতার বিশাল সাম্রাজ্যের প্রতিটি ক্ষেত্রই রহস্য রোমাঞ্চে মোড়া। এক এক করে বেরিয়ে আসছে নানা কিছু।
সূত্রের খবর ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর শেষবারের মতো হোয়াটস অ্যাপ স্ট্যাটাস বদলেছিলেন অর্পিতা। তবে শুধু হোয়াটস অ্য়াপ স্ট্যাটাসই নয়, অর্পিতার বিলাসী জীবনের নানা দিকও আজ বঙ্গ জীবনের চর্চার অঙ্গ হয়ে উঠেছে। অর্পিতার সাজের উপকরণও নাকি আসত বিদেশ থেকে। একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি গ্যারাজে। তার উপর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার কোটি কোটি টাকা। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই সামনে আসছে একের পর এক তথ্য। আর তা দেখে চোখ কপালে উঠছে অনেকেরই।