বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Ayan Shil: পঞ্চায়েতের চাকরিও বিক্রি করেছেন অয়ন, ‌শান্তনুর হাতযশের প্রমাণ মিলেছে দাবি ইডির

Ayan Shil: পঞ্চায়েতের চাকরিও বিক্রি করেছেন অয়ন, ‌শান্তনুর হাতযশের প্রমাণ মিলেছে দাবি ইডির

অয়ন শীল।

চাকরি করিয়ে দিতে প্রার্থীদের কাছ থেকে মাথাপিছু তিন থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা নিতেন অয়ন। পরে স্থায়ী পদে নিয়োগের জন্যও তাঁর সংস্থাকে বরাত দেয় হুগলির একাধিক পঞ্চায়েত। শান্তনুই সবাইকে অয়নের সংস্থাকে নিয়োগের দায়িত্ব দিতে বলতেন। ২০১৪ সালের পর থেকে আইসিডিএস, পঞ্চায়েত সহায়ক–সহ নানা পদে তাঁর মাধ্যমেই লোক ঢুকেছে।

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে থেমে থাকেননি অয়ন শীল। প্রোমোটার হওয়ার দৌলতে যোগাযোগ হয় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। আর তাঁর হাতযশেই শিক্ষার পাশাপাশি পুরসভা এমনকী পঞ্চায়েতের বিভিন্ন চাকরিও বিক্রি করেছেন গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীল। তদন্তে নেমে এই তথ্যই এবার হাতে এসেছে বলে দাবি ইডির। ইডি সূত্রে খবর, একাধিক জেলার পঞ্চায়েত বিভাগে নিয়োগের দায়িত্ব পেয়েছিল অয়নের সংস্থা। তাঁর মাথায় যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থাকায় এসব বরাত পাওয়া সম্ভব হয়েছিল। অয়নের সংস্থার দুই কর্মীকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। তখনই এই তথ্য তাঁরা হাতে পান।

ইডি সূত্রে খবর, অয়নের সল্টলেকের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে পুরসভা–সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরে নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিট বাজেয়াপ্ত করা হয়। তার মধ্যে পঞ্চায়েত দফতরে কিছু পদে চাকরির জন্য আবেদনের ফর্মও মিলেছে। সন্দেহের সূত্রপাত তখনই শুরু হয়। এই বিষয়ে অয়নকে জেরা করলেও কোনও সদুত্তর দেননি তিনি। তারপরই ওই প্রোমোটারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাতেই রহস্যের পর্দা ফাঁস হয়। একসময় পঞ্চায়েত দফতরেরই অস্থায়ী কর্মী ছিলেন অয়ন শীল। সুতরাং এখানের কাজকর্ম এবং কোন কোন পদ রয়েছে সেটা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা ছিল তাঁর।

এদিকে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠায় অয়ন নিয়মিত হুগলি জেলা পরিষদে যেতেন। সেখান থেকেই পঞ্চায়েতে চাকরি বিক্রির কারবার শুরু করেন অয়ন শীল। শান্তনুর হাতযশ থাকায় তিনি অস্থায়ী কর্মী ঢোকাতে শুরু করেন বলাগড়ের বিভিন্ন পঞ্চায়েতে। তার জন্য প্রার্থী জোগাড় করে তাঁদের ফর্ম পূরণ করিয়ে নেওয়া হতো। আবেদনপত্র নিয়ে অয়ন চলে যেতেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনুর কাছে। আর অয়নের তালিকা থেকে লোক নিয়োগের ব্যবস্থা করতেন তিনি বলে প্রমাণ পেয়েছে ইডি।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ অন্যদিকে এভাবেই হুগলি জেলার সমস্ত পঞ্চায়েতে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের দায়িত্ব পান অয়ন শীল। চাকরি করিয়ে দিতে প্রার্থীদের কাছ থেকে মাথাপিছু তিন থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা নিতেন অয়ন। পরে স্থায়ী পদে নিয়োগের জন্যও তাঁর সংস্থাকে বরাত দেয় হুগলির একাধিক পঞ্চায়েত। শান্তনুই সবাইকে অয়নের সংস্থাকে নিয়োগের দায়িত্ব দিতে বলতেন। ২০১৪ সালের পর থেকে আইসিডিএস, পঞ্চায়েত সহায়ক–সহ নানা পদে তাঁর মাধ্যমেই লোক ঢুকেছে। প্রার্থীদের প্রয়োজন অনুযায়ী ভুয়ো শংসাপত্র তৈরি করতেন অয়ন। আর শান্তনুর হাতযশেই দুই বর্ধমান, দুই ২৪ পরগনা–সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন পঞ্চায়েতে নিয়োগের দায়িত্ব পেয়েছিল অয়নের সংস্থা বলে ইডি সূত্রে খবর।

বন্ধ করুন