শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন তাপস মণ্ডল। আগামী দিনে তিনি রাজসাক্ষী হবেন কিনা সেটা সময় বলবে। তাপস মণ্ডলের গ্রেফতারের পর এমনই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তাঁর হিসাবরক্ষক নীলকমল চক্রবর্তী। আর কুন্তলকে তিনি ধাপ্পাবাজ বলেছেন। এমনকী ইডির সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে নাম ছিল তাপস মণ্ডলের। নিয়োগ দুর্নীতিতে সমান্তরালভাবে তদন্ত করছে সিবিআই। আজ, সোমবার আদালতে ঢোকার মুখে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, আপনাকে কেন গ্রেফতার করা হল? সেটার কড়া জবাব দেন তিনি।
ঠিক কী বললেন তাপস মণ্ডল? এদিন আদালতে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্ন শোনেন তিনি। আর জবাবে বলেন, ‘প্রভাবশালীদের একজনই আমায় ফাঁসিয়েছে। টাকা আমি নিইনি। কুন্তল নিয়েছিল। ৫০ লক্ষ নয়। ১৯ কোটি টাকা নিয়েছিল। ওর থেকে টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েছিলাম। অভিযোগ করেছিলাম। তাই আজ অভিযুক্ত। কেন গ্রেফতার জানা নেই।’ যদিও প্রভাবশালীর নাম তিনি উল্লেখ করেননি। তবে ইডি’র হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন হুগলির যুব নেতা কুন্তল ঘোষ। তিনি এখন জেল হেফাজতে রয়েছেন। কয়েকদিন আগে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে কুন্তল ঘোষকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল।
এদিকে কুন্তল ঘোষকে সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার তোড়জোড়ের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাপস মণ্ডলকে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে ম্যারাথন জেরার পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আর গ্রেফতার করা হয়েছে নীলাদ্রি ঘোষকেও। তাপস মণ্ডল নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের খাস লোক বলে পরিচিত। রবিবার তাপস মণ্ডল বলেছিলেন, ‘কুন্তল ঘোষ তো অভিযোগ করবেই। সেটাই তো স্বাভাবিক। আমি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি, অতএব সে করবেই।’
অন্যদিকে আজ, সোমবার আদালতে ঢোকার মুখে কুন্তলকে নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা গেল তাপস মণ্ডলকে। টাকা নেওয়া এবং গ্রেফতার হওয়া নিয়ে তাপস মণ্ডলকে প্রশ্ন করতেই বেশ ক্ষুব্ধ হয়েই তিনি বলেন, ‘আমি টাকা কোথায় ডিমান্ড করেছি। আমি কেন টাকা নেব? কুন্তল ঘোষকে যে টাকা দেওয়া হয়েছে, সেটাই আদায় করতে চেয়েছিলাম।’ মানিক ভট্টাচার্য গ্রেফতারের পর সামনে আসে তাপস মণ্ডলের নাম। সম্প্রতি হুগলির যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুন্তল ঘোষ গ্রেফতারের পর যেন আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠেন তাপস। কারণ কুন্তলের মুখে একাধিকবার শোনা যায় তাঁর নাম। আবার তাপসকে জেরা করে সামনে আসে নীলাদ্রি ঘোষের কথা। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে কেমন করে যুক্ত তাপস, নীলাদ্রি, কুন্তল সেটা জানতে তিনজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার কথা ভাবছে সিবিআই।