নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার নাম জড়াল রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের। অভিযোগ, তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ ও আত্মীয়দের সমবায় ব্যাঙ্কে নিয়োগ করেছেন তিনি। এমনকী শূন্যপদের প্রায় দ্বিগুণ নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ২০২১ সালে দায়ের একটি মামলায় অতিরিক্ত হলফনামায় এমনই সব অভিযোগ করেছেন মামলাকারীর আইনজীবী।
অভিযোগ, ২০১৯ সালে তমলুক – ঘাটাল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে ৫২টি শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। আবেদন করেন ২০৩৫ জন। কিন্তু তাদের মধ্যে অন্তত ১০০ জনের নাম আবেদনের মূল্য চোকানোর তালিকায় নেই। অভিযোগ, ওই আবেদনকারীদের জায়গায় তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠদের নিয়োগ করা হয়। যারা চাকরির জন্য আবেদন করেননি এমন ব্যক্তিও রয়েছে তার মধ্যে। নাম রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি দেবব্রত দাসের ভাইপো। ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান গোপাল মাইতির ভাইপো। ব্যাঙ্কের সিইও প্রণয় চক্রবর্তীর ভাইপো। অরূপ রায় ঘনিষ্ঠ সত্য সামন্তের বোন। ব্যাংকের সচিব কুশল কুলভির ভাইপো। ব্যাঙ্কের আধিকারিক নিমাই অধিকারীর মেয়ে ও ব্যাঙ্কের আধিকারিক তপন কুমার কুলিয়ার ছেলে।
পার্টি অফিস তৈরির জন্য দানপত্র করা জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ অনুব্রতর বিরুদ্ধে
হলফনামায় দাবি করা হয়েছে, ৫২টি শূন্যপদের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হলেও বেআইনি নিয়োগ করতে সংখ্যাটা পৌঁছয় ১৩৪-এ। কো অপারেটিভ সার্ভিস কমিশনকে পাশ কাটিয়ে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্ককে ২ বার অনুমতি দিয়েছেন সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন SSC-র উপদেষ্টা কমিটির ২ সদস্যও। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে পর্ষদের সদ্য প্রাক্তন সচিব মানিক ভট্টাচার্যকে খুঁজছে সিবিআই। তার মধ্যে অরূপ রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়ল বই কমল না।