শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। সেই সম্পর্কের বাঁধনে পড়ে দু'জনের বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা চলছিল আদালতে। তারমধ্যে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করল আদালত। তারপর শোভন জানালেন, মুক্তির স্বাদ পেলেন বৈশাখী। এবার তিনিও 'স্বাধীনতা' খুঁজছেন।
আজ আলিপুর আদালতের বিচারক বৈশাখীর বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করেন। বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে বৈশাখীর সঙ্গে তাঁর স্বামী মনোজিৎ মণ্ডলের। বৈশাখীর দাবি, একইসঙ্গে তাঁর ছোট্ট সন্তান মেহুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ভরণপোষণের জন্য প্রাক্তন স্বামী অর্থ দিতে চেয়েছিলেন তাঁকে। তিনি সেই টাকা নিতে অস্বীকার করলেও আদালতের রায়ে তা মেনে নিয়েছেন।
এই অবস্থায় শোভন চট্টোপাধ্যায় নিজের সীমিত ক্ষমতার মধ্যে থেকেই তাঁর বান্ধবী এবং বান্ধবীর সন্তানের জন্য যে কোনও রকমের দায়িত্ব নেবেন বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘বৈশাখী যে সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল এতদিনে তার অবসান হল। অনেক চক্রান্ত হয়েছিল। অনেক অসত্য কথা বলতে হয়েছিল। তবে আমি এটা বলতে পারি যে দায়িত্ববোধ নিয়ে আমি সচেতন থাকব। বৈশাখীর একটি ছোট্ট সন্তান রয়েছে। তাদের দু'জনেরই সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। সেই দায়িত্ব থেকে আমি কখনও পিছপা হব না।’ তিনি আরও জানান, অত্যন্ত খারাপ সময়ে তার পাশে দাঁড়িয়েছিল বৈশাখী। তা তিনি কখনই ভুলতে পারবেন না। তাঁর কথায়, ‘আমি যাকে বুক দেখায়, তাকে কখনও পিঠ দেখায় না।’
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর সন্তানের জীবনে শোভনের অবদানের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার সন্তানের জীবনে সবচেয়ে বড় যার অবদান রয়েছে আমার মা এবং শোভনের।’ উল্লেখ্য, মনোজিৎ অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছেন এই দাবীতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন বৈশাখী। এদিকে শোভন-বৈশাখীর মধ্যে একজন যেহেতু অতীতের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে তাই এবার শোভনও দ্রুতই অতীতের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন বলে মনে করছেন তার শুভানুধ্যায়ীরা। যদিও তাঁর স্ত্রী তথা কাউন্সিলর রত্না চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি এত সহজে শোভনকে বিবাহবিচ্ছেদ দেবেন না।