ডিসেম্বর শুরু হতেই মহানগরে নামছে তাপমাত্রার পারদ। শীতের আমেজ উপভোগ করতে রবিবার শহরের পিকনিক স্পটগুলি ছিল ভিড়ে জমজমাট। তবে দুশ্চিন্তায় পরিবেশবিদরা। কারণ শীত আসতেই শহরে দূষণ বাড়তে শুরু করেছে। দীপাবলিতে মহানগরে যে পরিমাণ দূষণ ছিল ডিসেম্বরের প্রথম রবিবার তা ছাপিয়ে গেল৷ ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের মাপ অনুযায়ী, রবিবার শহরে দূষণের সূচক ছিল ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই-এর মধ্যে। বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণার এই বেড়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তায় পরিবেশবিদ ও চিকিৎসকরা।
ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের পরিসংখ্যান বলছে, রবিবার দূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি ছিল ভিক্টোরিয়ায়। এখানে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত দূষণের সূচক ছিল ৩২৮ একিউআই। যাদবপুরে ৩১৩, সল্টলেকে ৩০২, বালিগঞ্জে ২৯৯ এবং আরবিইউতে ছিল ২৯১ একিউআই। এই অবস্থায় বয়স্ক মানুষ এবং শিশুদের শারীরিক সমস্যা বাড়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক অরূপ হালদার৷ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে প্রাতঃভ্রমণে না বেরোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। বায়ুদূষণ নিয়ে বোস ইনস্টিটিউটের পূর্বাভাস, ২০১৯ সালের তুলনায় এবছর শীতে কলকাতায় বায়ু দূষণ ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
বোস ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক অভিজিৎ চ্যাটার্জি বলেন, গত দুই বছর করোনা অতিমারির কারণে দূষণ কম ছিল৷ কিন্তু, করোনা কাটার পরেই দূষণও বেড়েছে। এই অবস্থায় দূষণ রোধে কঠোর পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ওই ইনস্টিটিউটের মতে, ২০২৩ সালে রাজ্যে এরোসল দূষণ ৮% বৃদ্ধি পাবে। যা এরোসল দূষণের মানচিত্রে পশ্চিমবঙ্গ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অর্থাৎ রেড জোনে ঢুকে পড়বে। দেশে এরোসল দূষণের ক্ষেত্রে বিহারের পরেই পশ্চিমবঙ্গ দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করবে। ফলে বায়ু দূষণের দিক দিয়ে নতুন বছর পশ্চিমবঙ্গের জন্য মোটেও সুখকর হবে না বলে জানাচ্ছেন তারা।