বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সেখান থেকে বুধবার বিকেলে যে নয়া রাজ্য কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে, তা থেকে বাদই পড়ে গিয়েছেন। সূত্রের খবর, তারপর রাতেই সায়ন্তন বসুর বিধাননগরের বাড়িতে গেলেন এক বিধায়ক, প্রাক্তন বিধায়ক-সহ তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন নেতা। যা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।
প্রায় বছরপাঁচেক ধরে বঙ্গ বিজেপির অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সায়ন্তন। হামেশাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করতেন। কিন্তু নয়া রাজ্য কমিটিতে তাঁর ঠাঁই হয়নি। বিজেপির অন্দরের খবর, নয়া কমিটি থেকে বাদ পড়তেই নাকি ফোঁস করে ওঠেন সায়ন্তন। ঘনিষ্ঠ মহলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সেখানেই ক্ষান্ত থাকেননি, বিজেপির সব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যান। তারইমধ্যে রাতের দিকে সায়ন্তনের বাড়িতে এক বিধায়ক, প্রাক্তন বিধায়ক-সহ তৃণমূলের কয়েকজন নেতা যান। যা নিয়ে স্বভাবতই জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।
রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, ‘দুঃখের’ দিনে 'পাশে' দাঁড়াতেই কি সায়ন্তনের বাড়িতে গেলেন তৃণমূল নেতারা? যদিও বিষয়টি নিয়ে সায়ন্তন কোনও মন্তব্য করেননি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনও উত্তর মেলেনি। তৃণমূলের একটি মহলের দাবি, নেহাতই সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ ছিল। চা খাওয়ার ফাঁকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা খোলসা করা হয়নি।
এমনিতে বুধবার বিকেলে বিজেপির নয়া রাজ্য কমিটির তালিকা প্রকাশের পরই গেরুয়া শিবিরের একটি মহলে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। দীর্ঘদিন দলের হয়ে মাঠে নামলেও রীতেশ তিওয়ারি, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা রাজ্য কমিটি থেকে ব্রাত্য থেকে গিয়েছেন। বিজেপির একটি মহলের দাবি, নয়া কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ঘনিষ্ঠের সংখ্যা নয়া রাজ্য কমিটিতে অনেকটাই কম বলে দাবি করেছে গেরুয়া শিবিরের একটি মহল। তারইমধ্যে নাম গোপন রাখার শর্তে আবার এক নেতা বলেছেন, ‘যাঁরা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সঙ্গে কাজ করেছেন, তাঁদের তুলে ধরা এবং প্রাক্তন তৃণমূল নেতাদের বাইরে রাখার তেমন কোনও চেষ্টা ধরা পড়েনি।’ আগে সংঘের নেতাদের বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার অলিখিত নিয়ম ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।