বিহার নির্বাচনে সাফল্য পেয়ে এবার বাংলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান আসাউদ্দিন ওয়েইসি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে পারে আসাদুদ্দিন ওয়েইসি’র এআইএমআইএম। বিহারের নির্বাচনে তারা পাঁচটি আসনে জয় পেয়েছে। শুধু তাই নয়, অনেক আসনে ভোট কেটে মহাগঠবন্ধন প্রার্থীদের হারিয়ে পরোক্ষ ভাবে বিজেপির হাত শক্ত করেছে এআইএমআইএম।
এই নির্বাচনের পরেই ওয়েইসি’র দলকে ভোট কাটা পার্টি আখ্যা দিয়ে কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর বার্তা, ‘ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলিকে সতর্ক থাকতে হবে।’ পাল্টা তাঁকে জবাব দেন ওয়েইসি। ওয়েইসি বলেন, ‘বারবার নিজের কেন্দ্রে জয়ের পর অধীররঞ্জন চৌধুরী নিশ্চয়ই জানেন তিনি সেখানে কী কাজ করেছেন! তাঁর সংসদীয় ক্ষেত্রে একটা বড় অংশের মুসলমান সম্প্রদায়ের বাস। ভোটে জেতা ছাড়া তিনি আর কী কাজ করেছেন তাঁদের জন্যে? তাঁর দল এখন গোটা দেশেই হারছে।’
তাহলে কী বিহারের মতোই বাংলাতেও প্রার্থী দেবে ওয়েইসির দল? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বাংলার এইআইএমআইএম নেতাদের সঙ্গে কথা বলব এবং তাঁরা যদি তৎপরতা ও আত্মবিশ্বাস দেখান, তা হলে দল পশ্চিমবঙ্গের পরবর্তী নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।’
তৃণমূলের দাবি, উর্দুভাষী মুসলিমদের মধ্যেই মূলত ওয়েইসির প্রভাব। সেই জায়গায় পশ্চিমবঙ্গে উর্দুভাষী মুসলিম মাত্র ৬ শতাংশ। সুতরাং বাংলাভাষী মুসলিমদের মধ্যে ওয়েইসির প্রভাব না থাকায় বিজেপি বিরোধী ভোট তৃণমূলই পাবে। প্রসঙ্গত আসাউদ্দিন ওয়েইসির এআইএমআইএম মূলত হায়দরাবাদ ভিত্তিক দল। ধীরে ধীরে মহারাষ্ট্র ও বিহারে রাজনৈতিক জমি দখল করছে তারা। মূলত মুসলমান হিতের কথা বলেন তিনি ও সেই বিশেষ সম্প্রদায়কে ঘিরেই আবর্ত হয়ে ওয়েইসির রাজনীতি। তিনি ভোট কাটুয়া, এই অভিযোগ খারিজ করে ওয়েইসি বলেছেন যে কংগ্রেস ও অন্যান্য তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ দলদের বোঝা উচিত যে মুসলমানরা তাদের জন্য ভোট দিতে বাধ্য নয়। এতদিন ধরে দেশে মুসলমানদের স্বার্থে কাজ হয়নি অভিযোগ করে তাদের কথা তুলে ধরতেই তাঁর দল ভোটে লড়ে বলেছেন ওয়েইসি।
তবে সবাই যদিও ওয়েইসির এই দাবির সঙ্গে সহমত নয়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ যোগেন্দ্র যাদব যেমন বলেছেন ওয়েইসির উত্থানে তিনি চিন্তিত। ওয়েইসি মুসলমানদের ভারতীয় সমাজের মুলস্রোত থেকে দূরে নিয়ে যেতে চাইছেন বলে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেসের পবন খেরা।