পশ্চিম বর্ধমানে তৃণমূলের নতুন জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে। কিন্তু সেখানে ব্রাত্য জিতেন্দ্র তিওয়ারি। জেলা সভাপতির পুরনো পদ ফিরে পেলেন না পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক। আর সে নিয়েই কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। রবিবার তিনি বলেন, ‘ওই চিঠির জেরে যদি পদ থেকে সরানো হয়ে থাকে, তা হলে আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাব।’
গত ডিসেম্বরে আসানসোলকে বঞ্চনা করা হচ্ছে বলে পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি দিয়েছিলেন আসানসোল পুরনিগমের তৎকালীন পুর প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, ‘স্মার্ট সিটি প্রকল্পের জন্য আসানসোলকে বেছে নিয়েছে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে সরকার ছাড়পত্র না দেওয়ায় আসানসোলের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের ২ হাজার কোটি টাকা আসেনি।’ একইসঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন জিতেন্দ্র।
এদিন সেই বিতর্কতি চিঠির প্রসঙ্গ তুলে বাবুল সুপ্রিয়র বলেন, ‘জিতেন্দ্র তিওয়ারি ববি হাকিমকে দেওয়া চিঠিতে সবটাই ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইটে লিখেছেন। আমি যে মন থেকে কাজ করতে চেয়েছিলাম। সেটা আসানসোলের মানুষ বুঝতে পেরেছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই স্পিড ব্রেকার হয়ে বাধা দিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, আসানসোলকে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরকারের বিরুদ্ধে চিঠি দিয়ে আসানসোল পুর প্রশাসকের পদ, জেলা সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। দল ছাড়তেও চলেছিলেন তিনি। যদিও পরে তা হয়নি। কলকাতায় এসে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে বৈঠক করে দলে থাকার বার্তা এবং পুরনো পদ ফিরে পাওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করার পরও দল আর জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে তাঁর পুরনো পদ ফিরিয়ে দেয়নি।
পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূলে নতুন সভাপতি করা হয়েছে দুর্গাপুরের প্রাক্তন বিধায়ক অপূর্ব মুখোপাধ্যায়কে। এমনকী দলের নতুন জেলা কমিটিতেও জায়গা পাননি জিতেন্দ্র। এদিকে, নতুন জেলা তৃণমূল সভাপতিকেও আক্রমণ করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেছেন, ‘নতুন জেলা তৃণমূল সভাপতি ইতিমধ্যে না জেনে উল্টোপাল্টা কথা বলতে শুরু করেছেন। আর তো কয়েক মাস তৃণমূল এই কালচার চালাবে। চলুক।’