আরজিকর আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ জুনিয়র চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়া। সম্প্রতি তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। তারপরেই তলবে সাড়া দিয়ে হাজিরা দেবেন বলে জানিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসক। কিন্তু, কথামতো হাজিরা দিলেন না তিনি। এদিন হাজিরা এড়িয়ে যান আসফাকুল্লা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনি হয়েও সার্জনের পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করেছেন। এই অভিযোগে, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল পুলিশ। তবে এদিন তিনি পুলিশকে পাল্টা মেল করেছেন। তাতে বলেছেন, কেন তাঁকে তলব করা হচ্ছে? সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে তাকে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: বাড়িতে তল্লাশির পর এবার আসফাকুল্লা নাইয়াকে তলব পুলিশের
প্রসঙ্গত, আরজিকর আন্দোলনের সময় প্রথম প্রকাশ্যে আসে ওই চিকিৎসকের নাম। আন্দোলনের প্রথম থেকেই একেবারে প্রথমের সারিতে ছিলেন তিনি। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়রদের বৈঠকেও প্রথমের সারিতে থাকতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তবে অভিযোগ ওঠে, সিঙ্গুরে একটি স্বাস্থ্য পরিষেবার আয়োজন করেছিল একটি সংস্থা। সেই সংস্কার তরফে বিজ্ঞাপনে জানানো হয় আসফাকুল্লা একজন ইএনটি বিশেষজ্ঞ। এই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে মেডিক্যাল কাউন্সিলে অভিযোগ জানিয়েছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশন। তারপর পুলিশেও অভিযোগ দায়ের হয়।
জানা যায়, অভিযোগ পাওয়ার পরেই রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল গত বুধবার আসফাকুল্লাকে শোকজ করেছিল। পিজিটি হয়েও কেন তিনি ইএনটি সার্জনের পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করেছেন তা ৭দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছিল আসফাকুল্লাকে। এদিকে, এই ঘটনার পরেই চিকিৎসকের কাকদ্বীপের বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়। জানা যায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের রামতনু নগর এলাকায় আসফাকুল্লার যে বাড়ি রয়েছে সেখানে বিধাননগর পুলিশের একটি দল হানা দিয়ে একাধিক নথি সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। তবে ওই জুনিয়র ডাক্তার অভিযোগ তুলেছিলেন এরজন্য পুলিশের তরফে কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। এরপর পুলিশ ডেকে পাঠাতেই তিনি বলেছিলেন হাজিরা দেবেন এবং নিজের আইনজীবীর সঙ্গে এবিষয়ে কথা বলবেন। তবে এদিন সময় আসতেই দেখা গেল হাজির এড়িয়ে যান তিনি। ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় হাজিরা দিয়ে তিনি জানান, বিস্তারিত কারণ জানাতে হবে তারপরেই তিনি হাজিরা দেবেন।