আরজি কর কাণ্ডে ফের নতুন গ্রেফতার। আর্থিক অনিয়ম সম্পর্কিত অভিযোগের মামলায় গ্রেফতার আশিস পাণ্ডে। টেন্ডার দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আরজি করের দুর্নীতির চক্রের মাথায় ছিলেন সন্দীপ। আর সেই সন্দীপের ডান হাত ছিলেন আশিস। এমনকী থ্রেট কালচারের সিন্ডিকেটের মাথাতেও ছিলেন আশিস। অভিযোগ এমনটাই।
কে এই আশিস পাণ্ডে?
তার প্রথম পরিচয় হল তিনি সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ। আর দ্বিতীয় পরিচয় হল আরজি করের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছাত্র নেতা হলেন আশিস। আর তার অপর পরিচয় হল আরজি করে দিনের পর দিন ধরে থ্রেট কালচারের যে সিন্ডিকেট চলছিল তারই মাথায় ছিলেন আশিস।অভিযোগ এমনটাই।
সূত্রের খবর এই আশিস তথ্য় গোপন করার চেষ্টা করছিল। সিবিআইয়ের হাতে একাধিক নথি রয়েছে যেখানে আর্থিক অনিয়মের নানা তথ্য প্রমাণ রয়েছে। আর সেই সব নথি দেখিয়ে আশিসকে বার বার প্রশ্ন করে সিবিআই। তাকে বার বার প্রশ্ন করা হয়েছিল। আর্থিক বেনিয়ম সংক্রান্ত ব্যাপারে তার ভূমিকা কী! কিন্তু তিনি অনেক কিছু লুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করছিলেন।
৯ অগস্টা তারিখে যেদিন আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল সেই রাতে সল্টলেকের একটি হোটেল বুক করে ছিলেন বলে সূত্রের খবর। এমনকী যখন দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল তখনও সেমিনার রুমের কাছেই ছিলেন আশিস। খবর সূত্রের। আরজি করের টিএমসিপি ইউনিটের সভাপতি আশিস পাণ্ডে। এবার তাকে জালে পুরল সিবিআই।
জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, এটা একটা বড় পদক্ষেপ নিল সিবিআই। আমরা চাই এমন অনেক মাথা বসে আছে। তাদের এবার গ্রেফতার করা হোক।
এদিকে আশিসের বিরুদ্ধে আরজি করের তদন্ত কমিটির কাছে ভুরি ভুরি অভিযোগ এসেছিল। এবার তারা কী করে সেটাই দেখার।
সূত্রের খবর সিবিআই একাধিকবার জেরা করেছিল আশিসকে। জানা গিয়েছে, ঘটনার সেই রাতে হোটেলে থাকা ব্যক্তির নাম আশিস পাণ্ডে। সেই আশিস নাকি আবার সন্দীপ ঘোষের 'ডান হাত'। আশিস নাকি অভীক দে-র ঘনিষ্ঠও ছিলেন। এই আবহে ৯ অগস্ট কেন এই আশিস বিধাননগরের হোটেলে রাত কাটান, তা নিয়ে খোঁজ চালাচ্ছে সিবিআই। আর তাই হোটেল কর্মীদেরও তলব করে জেরা করা হয়েছিল।
আশিস পাণ্ডের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের পাশাপাশি দুটি বিস্ফোরক অভিযোগ রয়েছে। তার মধ্য়ে অন্যতম হল কেন সেই রাতে তিনি ছিলেন সল্টলেকের হোটেলে? কেন তিনি চমকাতেন অন্যদেরকে?