সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা তুঙ্গে। এমন সময়ই বুধবার ‘দাদা’র বাড়িতে হাজির হলেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। ক্রিকেট ছাড়াও দু’জনের মধ্যে রাজনীতি নিয়েও কথা হয়েছে। অশোকবাবু নির্বাচনে লড়ছেন কিনা জানতে চান সৌরভ। তখনই সৌরভকে এক গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন ওই বাম নেতা। এদিন সে ব্যাপারে ফেসবুকে পোস্ট করেও জানিয়েছেন তিনি।
ভারতের ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা বর্তমান বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে অশোক ভট্টাচার্যের বহু পুরনো। বাম আমলে মন্ত্রী থাকাকালীন অশোকবাবুর সঙ্গে সৌরভের যে সম্পর্ক তৈরি হয় তা আজও বজায় রয়েছে। একপ্রকার পারিবারিক সম্পর্কই হয়ে গিয়েছে তাঁদের। সম্প্রতি সৌরভ বিজেপি–তে যোগ দিতে পারে, আসন্ন নির্বাচনে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতে পারে— এমন অনেক গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তাই রাজনীতি নিয়েও এদিন আলোচনা হয় সৌরভ আর অশোক ভট্টাচার্যের মধ্যে।
ফেসবুকেই এদিন সে ব্যাপারে জানিয়েছেন অশোকবাবু। তিনি লিখেছেন, ‘আজ সৌরভের বাড়িতে বসে সৌরভ আর ডোনার সঙ্গে অনেক গল্প হল। শিলিগুড়ির খবর, ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা হল। আমি ইলেকশনে লড়ছি কিনা তাও জানতে চাইল। তার জন্য আগাম শুভেচ্ছাও জানিয়ে রাখল। রাজনীতির কথা প্রসঙ্গে আমার মত, ওর রাজনীতিতে যুক্ত না হওয়া, তাও বলেছি।’ তাঁর কথায়, ‘ক্রিকেট সৌরভকে জনপ্রিয়তার শিখরে নিয়ে গিয়েছে। তাই সৌরভের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া উচিত হবে না।
এদিন অশোকবাবু বলেছেন, ‘সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভক্ত তৃণমূলে, সৌরভের ভক্ত রয়েছে কংগ্রেসেও, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভক্ত বিজেপি, সিপিএম কর্মী–সমর্থকরাও। তাই সৌরভ যদি কোনও একটি রাজনৈতিক দলের মুখ হয়ে যায় তবে বাকিদের আবেগে ধাক্কা লাগতে পারে। তাই ওঁর রাজনীতিতে না যাওয়াই শ্রেয়।’
উল্লেখ্য, গত রবিবার হঠাৎ রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সৌরভ। তার পর থেকেই বেড়ে চলেছে জল্পনা। পরের দিন অর্থাৎ সোমবার তিনি উড়ে যান দিল্লি। সেখানে ফিরোজ শাহ কোটলায় একই মঞ্চে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহয়ের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা যায় সৌরভকে। অমিত শাহ সেই অনুষ্ঠান বলেন, ‘আমার এখানে আসার তেমন ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু যখন দেখি অতিথিদের তালিকায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, গৌতম গম্ভীররা রয়েছেন, তার পর আর এখানে আসার লোভ সামলাতে পারিনি।’ যদিও সমস্ত জল্পনা বারবারই উড়িয়ে দিয়েছেন ‘দাদা’ সৌরভ।