বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > শিলিগুড়ির মুখ্য প্রশাসকের দায়িত্ব নেবেন না, জানিয়ে দিলেন অশোক ভট্টাচার্য

শিলিগুড়ির মুখ্য প্রশাসকের দায়িত্ব নেবেন না, জানিয়ে দিলেন অশোক ভট্টাচার্য

ফাইল ছবি

কাজ চালিয়ে যেতে শুক্রবার অশোক ভট্টাচার্যকে চেয়ারম্যান করে ১২ সদস্যের প্রশাসনিক বোর্ড গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর।

রাজ্য সরকারের বেআইনি কাজে সামিল হবেন না তাঁরা। এই বলে শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডে যোগদান করতে অস্বীকার করলেন বিদায়ী মেয়র অশোক ভট্টাচার্য-সহ সিপিএমের ৭ কাউন্সিলর। ঘটনায় সিপিএমের প্রতি সরকারকে অসহযোগিতার পালটা অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। 

শনিবার শেষ হচ্ছে শিলিগুড়ি পুর বোর্ডের মেয়াদ। করোনা পরিস্থিতির জেরে ভোট কবে হবে তা জানা নেই। এই অবস্থায় পুরসভার কাজ চালিয়ে যেতে শুক্রবার অশোক ভট্টাচার্যকে চেয়ারম্যান করে ১২ সদস্যের প্রশাসনিক বোর্ড গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। এর মধ্যে রয়েছেন সিপিএমের ৭ কাউন্সিলর। এছাড়া তৃণমূলের ৫ কাউন্সিলরের নাম রয়েছে তালিকায়। 

বিজ্ঞপ্তি দেখে শুক্রবারই অশোকবাবু জানিয়ে দেন, কোনও পরিস্থিতিতেই প্রশাসনিক বোর্ডের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব নেবেন না তিনি। বিদায়ী জনপ্রতিনিধিদের প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য করা সংবিধানের ভাবনার পরিপন্থী বলে জানিয়েছে তার দল। ফলে প্রশাসনিক বোর্ডে যোগ দেওয়ার প্রশ্ন নেই। 

অশোকবাবু বলেন, ‘দিনের পর দিন আমাকে ও শিলিগুড়ির মানুষকে অপমান করেছে রাজ্য সরকার। শহরের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের বরাদ্দ আমাদের সময়মতো দেয়নি। নবান্নে গিয়ে ধরনা দিয়ে সেই টাকা উদ্ধার করতে হয়েছে আমাকে। এখন শেষ বেলাতেও শিলিগুড়ির মানুষকে অপমান করতে চাইছে তারা।’

সিপিএমের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন ডাবগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, ‘অশোকবাবু নবান্নে গিয়ে ফিরহাদ হাকিমকে বলে এসেছিলেন, কলকাতার জন্য যা ব্যবস্থা হবে আমাদের জন্যও তাই করবেন। বোর্ডের সদস্য করার জন্য ৭ জন কাউন্সিলরের নামও দিয়ে এসেছিলেন। তাদের প্রত্যেককে বোর্ডের সদস্য করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এখন পুরসভার কাজ চালানো প্রধান কাজ। এক্ষেত্রে যদি তাঁরা দায়িত্ব নিতে না চান তো অন্য পথ ভাবতে হবে।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক্ষেত্রে সরকারের সামনে ২টি পথ খোলা রয়েছে। প্রথম রাস্তা হিসাবে কোনও সরকারি আমলার নেতৃত্বে প্রশাসনিক বোর্ড গঠনের নোটিশ জারি করতে পারে নবান্ন। নইলে কোনও জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে তৈরি হতে পারে প্রশাসনিক বোর্ড। সেক্ষেত্রে অবশ্যই গৌতম দেবের দিকে পাল্লা ঝুঁকে। 

 

বন্ধ করুন