এবার শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ভবানীপুর থানায় এফআইআর দায়ের করা হল। আর এই এফআইআর দায়ের করল আশুতোষ কলেজের স্টুডেন্টস ইউনিয়ন এবং পড়ুয়ারা। গত সোমবার যে ঘটনা কলেজের সামনে ঘটেছিল, যেভাবে মারমুখী হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তার জেরেই এই এফআইআর বলে খবর। এখানে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ঠিক কী লেখা আছে অভিযোগপত্রে? স্টুডেন্টস ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দায়ের করা এফআইআর–এ লেখা আছে, ১৪ ফেব্রুয়ারি বেলা ২টোয় বিরোধী দলনেতা আশুতোষ কলেজ ক্যাম্পাসে আসেন। তিনি এবং তাঁর দেহরক্ষীরা কলেজের ছাত্রছাত্রীদের হুমকি দিয়েছেন। কলেজ সংলগ্ন এলাকায় তিনি গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করেছেন। তাঁর উস্কানিতেই গোলমালের ঘটনা ঘটে। যার জেরে কয়েকজন ছাত্রছাত্রী আহত হয়েছেন।
ঠিক কী ঘটেছিল সোমবার? ঘটনাস্থলের ফুটেজ অনুযায়ী, পুলওয়ামা শহিদ দিবস উপলক্ষ্যে সোমবার এখানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল শ্যামাপ্রসাদ অনুশীলন কেন্দ্র। আশুতোষ কলেজের বাইরে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ, বিরোধী দলনেতাকে ঘিরে কার্যত স্লোগান দেন প্রায় শতাধিক পড়ুয়া। সেই স্লোগানে তাঁর বাবা শিশির অভিকারীকে টেনে আনা হয়। তাতেই মেজাজ হারিয়ে তেড়ে যান শুভেন্দু অধিকারী। একজন পুলিশকর্মীকে ধাক্কাও দেন বলে অভিযোগ। যদিও তারপর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন শুভেন্দু অধিকারী।
এবার পাল্টা ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে শুভেন্দু টুইটও করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস পড়ুয়াদের টাকা দিয়ে এই কাজ করিয়েছে। এই বিষয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, ‘বিরোধী দলনেতা ছাত্রছাত্রী এবং পুলিশ–প্রশাসনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। আমরা তাঁর সেই কাজের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। তিনি ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ও বিভেদ সমাজে ছড়িয়ে দিতে চাইছেন। তাই তার বিরুদ্ধে আমরা সামাজিক বয়কটের ডাক দিচ্ছি।’