আর হাতে সময় বলতে দু’দিন। তারপরই বঙ্গে শুরু হবে উপনির্বাচন। চার বিধানসভা কেন্দ্রে একসঙ্গে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১০ জুলাই রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে উপনির্বাচনকেও হালকাভাবে নিতে নারাজ নির্বাচন কমিশন। নিরাপত্তা নিয়ে যাতে কোনও খামতি না থাকে তার জন্যই তোড়জোড় শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। শুধু তাই নয়, চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য বাড়ানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যাও। অতিরিক্ত আরও ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হবে এই চার বিধানসভা কেন্দ্রে।
সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনে বিপুল পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলায় মোতায়েন করা হয়েছিল। কাশ্মীরের থেকে বাংলায় বেশি ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। এবার রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে অতিরিক্ত আরও চার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হবে। আর রানাঘাট বিধানসভা কেন্দ্রে ৪ কোম্পানি, বাগদায় ৪ কোম্পানি এবং মানিকতলায় অতিরিক্ত আরও ৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে উপনির্বাচনের দিনে। সুতরাং চার বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য বাংলায় থাকছে ৭০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। লোকসভা নির্বাচনের সময় দুই বিধানসভা কেন্দ্র মানিকতলা এবং ভগবানগোলায় উপনির্বাচন হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সাততলার সিঁড়ির রেলিং থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু, বালিগঞ্জে মর্মান্তিক ঘটনায় আলোড়ন
লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে ওই দুই বিধানসভার উপনির্বাচন হয়ে যাওয়ায় আলাদা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে হয়নি। কিন্তু এবার চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য আলাদা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে নির্বাচন যাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয় তাই আরও অতিরিক্ত ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অর্থাৎ রায়গঞ্জে থাকছে ১৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, রানাঘাটে ১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, বাগদায় ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং মানিকতলায় রাখা হচ্ছে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। উপনির্বাচনের শেষে অতিরিক্ত কোম্পানি আবার নিজের জায়গায় ফিরে যাবে বলেও জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চিঠিতে।
এবার দেখা যাক কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিন্যাস। ৭০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে সিআরপিএফ থাকবে ১৪ কোম্পানি, বিএসএফ ১৯ কোম্পানি, সিআইএসএফ ১০ কোম্পানি, আইটিবিপি ১৪ কোম্পানি এবং এসএসবি ১৩ কোম্পানি। সব বিধানসভা কেন্দ্রগুলিকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। রানাঘাট দক্ষিণ ও রায়গঞ্জ কেন্দ্রের বিধায়ক আগেই ইস্তফা দিয়ে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ছিলেন। বাগদা কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসও ইস্তফা দিয়ে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হন। তাই এই তিন কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। আর মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সাধন পাণ্ডে প্রয়াত হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন আটকে ছিল। এবার সেটাও হচ্ছে।