আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাম কংগ্রেস জোট হবেই। শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বকে একথা জানিয়ে দিল্লি গেলেন অধীর চৌধুরী। এব্যাপারে এগোনোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের ২ শীর্ষ নেতা আবদুল মান্নান ও প্রদীপ ভট্টাচার্যকে। কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সিপিএম।
শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেস সদর দফতর বিধান ভবনে রাজ্যের ৪ জন শীর্ষনেতার সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন অধীর চৌধুরী। সেখানেই তিনি স্পষ্ট করেন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট হবেই। নির্বাচনে বেশি আসন দাবি করতে গেলে তার আগে দলের সংগঠনকে জেলায় জেলায় সক্রিয় করতে হবে। অধীরবাবুর সিদ্ধান্তেই সহমতি জানান প্রায় সব নেতা।
সূত্রের খবর, প্রদেশ কংগ্রেসের এক শীর্ষনেতা অধীরের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আলাদা ভোটে লড়ার পক্ষে মত দেন। তাঁকে কার্যত ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে অধীরবাবু প্রশ্ন করেন, পশ্চিমবঙ্গে এমন একটা আসন বলুন যেখান থেকে আপনি একার জোরে নিশ্চিত জিতে আসতে পারেন।
এর পরই আবদুল মান্নান ও প্রদীপ ভট্টাচার্যকে বামেদের সঙ্গে জোট আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দেন। কবে বাম নেতারা এব্যাপারে আলোচনায় বসতে পারবেন তা ঠিক করে জানাতে বলেন তাঁদের। সেই মতো দিল্লি থেকে ফিরে তিনি বৈঠকে যোগ দেবেন বলে জানান অধীরবাবু।
রাজ্যের ক্ষমতা থেকে অপসারণের পর লাগাতার বামেদের সমর্থন কমেছে। তৃণমূল কংগ্রেস গঠনের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের দশাও নিভুনিভু। এই পরিস্থিতিতে ২ পক্ষের জোট হলে তৃণমূল ও বিজেপির দ্বিমুখি লড়াইয়ে কিছুটা প্রাসঙ্গিক হওয়া যাবে বলে মনে করছে ২ পক্ষই।
সম্প্রতি NEET আয়োজনের বিরোধিতায় বিরোধী দলগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের ভার্চুয়াল বৈঠক পরিচালনার ভার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিয়েছিলেন কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। সেই থেকে বিধানসভা নির্বাচনে বাম – কংগ্রেস জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। অবশেষে তাতে জল ঢাললেন অধীরবাবু। শুক্রবারের বৈঠকে তিনি বলেন, ‘আমি দিল্লির প্রতিনিধি। দিল্লি আমাকে সভাপতি করেছে। তাই দিল্লির সম্মতিতেই জোট হচ্ছে।’
কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তে বামফ্রন্ট সভাপতি বিমান বসু বলেন, ‘বিজেপি আর তৃণমূল নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বাম – কংগ্রেসেরও উচিত নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত।’