আগামী ২২ জুলাই বিধানসভায় অধিবেশন বসতে চলেছে। আর তাই বিধানসভায় এখন নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করা হচ্ছে। অতিরিক্ত সিসিটিভি এবার বসাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। লালবাজারের সূত্রে খবর, বিধানসভার একাধিক কোণে বসানো হচ্ছে মোট ২২টি আধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সংসদে ‘স্মোক গ্রেনেড’ নিয়ে হামলা হয়। তাই বিধানসভায় এবার নিরাপত্তা আরও কড়াকড়ি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিধানসভায় নজরদারি বাড়াতেই লালবাজার অতিরিক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই বিধানসভায় ২২টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে।
এখন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা বেড়েছে। আর চারজনের শপথ হলে তা আরও বাড়বে। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাড়ানোই উচিত। বিধানসভায় যেখান দিয়ে বাইরের লোকজন প্রবেশ করেন, সেখানে সমীক্ষা করে দেখা হয়েছে। বাইরে থেকে এসে যদি কেউ লুকিয়ে ভিতরে ঢুকতে না পারে তার জন্য পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। আর বিধানসভা ভবনের অন্দরে যাতে কোনও ভিভিআইপির নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেদিকেও নজর রাখতে সিসিটিভি বসানো হচ্ছে। কলকাতা পুলিশ ২২টি আধুনিক চারটি ‘এমপি বুলেট ক্যামেরা’ বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জ্যোতিষীর রহস্যমৃত্যুতে আলোড়ন বজবজে, পচাগলা দেহ ঘর থেকে উদ্ধার করল পুলিশ
বিধানসভায় যদি কোনওরকম হামলা হয় তাহলে তা নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেবে। এই নিয়ে যাতে কোনও খামতি না থাকে তাই আধুনিক ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হবে বিধানসভা চত্বর। লালবাজার সূত্রে খবর, এই ক্যামেরার ছবি অনেক স্পষ্ট। ক্যামেরার সঙ্গে অন্যান্য আনুষঙ্গিক যন্ত্র কেনা হচ্ছে। এখানে থাকছে বুলেট ক্যামেরার ‘ক্যামেরা আর্ম’। কড়া নজরদারির জন্য দুটি ৩২ ইঞ্চির মনিটর কেনা হচ্ছে। এমনকী কখনও যদি বিধানসভায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে তাহলে যাতে সিসিটিভি বা মনিটরের কাজ বন্ধ না হয়, সেটার জন্য ৩০ মিনিট ব্যাক আপেরও ব্যবস্থা রাখা থাকছে। গোটা ব্যবস্থার রাখতে খরচ হচ্ছে প্রায় ২১ লাখ টাকা।
পুলিশ সূত্রে খবর, সিসিটিভি ক্যামেরা ছাড়াও নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। এবার বিধানসভায় দর্শনার্থীদের ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি করা হয়েছে। বিধানসভার সদস্য তথা বিধায়কদেরও নিজেদের গাড়িতে স্টিকার লাগাতে হচ্ছে। তারপর ভিতরে প্রবেশ করতে হচ্ছে। বিধায়কের সঙ্গে কেউ থাকলে তাঁকে হেঁটে বিধানসভায় ঢুকতে হবে। এবার বাড়তি নিরাপত্তার জন্যই বসানো হচ্ছে সিসিটিভি। বিধানসভার কোন কোন জায়গায় ক্যামেরা বসালে সুবিধা হবে সেটা নিয়ে সমীক্ষা করা হয়েছে। এবার সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি কেনার পর সেগুলি বসাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।