আজ, সোমবার থেকে শুরু হয়েছে বিধানসভার অধিবেশন। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাজেট অধিবেশন হবে। তার আগে রাজ্য বিধানসভায় মুখোমুখি হলেন যুযুধান প্রতিপক্ষ। একজন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরজন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীকে নানা কটাক্ষ, বিদ্রুপ বা কুকথা বলেই থাকেন বিরোধী দলনেতা। যার যোগ্য জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রীও। এবার তাঁদের দেখা হওয়ার ঘটনা রাজ্য–রাজনীতিতে বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে।
এদিকে বাংলার রাজনীতিতে আমরা–ওরার বিভাজন আজও আছে। সৌজন্য দেখা যায় না। একে অন্যকে দেখলে হাসিমুখে সৌজন্য দেখায় না। বরং একে অন্যের উদ্দেশে প্রতিপক্ষের অশালীন কটূ মন্তব্য শোনা গিয়েছে। এমনকী আগেও বিধানসভাতে এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। সেখানে একসময় তৃণমূল কংগ্রেসেরই সৈনিক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আজ তিনি বিরোধী দলনেতা। তবে বিজেপির সদস্য। নন্দীগ্রামে খোদ মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে হারিয়েই বিধায়ক হয়েছেন। বিধানসভায় তাই দু’জন দুই পক্ষ। একে অপরকে আক্রমণ–পাল্টা আক্রমণ করেই থাকেন। আজ বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে মুখোমুখি হলেন সেই শুভেন্দু–মমতা।
আরও পড়ুন: ‘একসঙ্গে থাকলে এমন হতো না’, দিল্লি নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আপ–কংগ্রেসকে তোপ মমতার
অন্যদিকে আজ ক্ষণিকের জন্য হলেও বিধানসভায় ফিরল সৌজন্যের রাজনীতি। এই বাজেট অধিবেশনের সূচনা করতে বিধানসভায় আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁকে অভ্যর্থণা দিতে যাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন বিধানসভা কক্ষে ঢুকছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই মুহূর্তেই মমতা–শুভেন্দুর মুখোমুখি দেখা হয়ে যায়। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীকে ইঙ্গিত দেন রাজ্যপালকে রিসিভ করার জন্য। শুভেন্দুও পাল্টা সৌজন্য দেখিয়ে দাঁড়িয়ে যান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে স্পিকার ছিলেন। তাঁকে দেখিয়ে শুভেন্দু বলেন, উনি তো আছেন। এরপর শুভেন্দু ঢুকে যান। মুখ্যমন্ত্রী এগিয়ে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে রিসিভ করতে।
এছাড়া এই আনুষ্ঠানিক বিষয়ে বিরোধী দলনেতাকে সম্মানের সঙ্গে সৌজন্য দেখান মুখ্যমন্ত্রী। পাল্টা সৌজন্য দেখান বিরোধী দলনেতাও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যাবি না?’ উত্তরে শুভেন্দু জানিয়ে দেন, ‘না। যাব না। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায় তো আছেন। এটা তো ওঁর কাজ। প্রোটোকল তাই বলে।’ রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে শুরু হয় চলতি বছরের বাজেট অধিবেশন। সিভি আনন্দ বোসের বক্তৃতা শেষ হওয়ার পরই আবার শুরু হয়ে গেল শাসক–বিরোধী শিবির থেকে শুরু হয় স্লোগান বনাম পাল্টা স্লোগান।