কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক অহি–নকুল না হলেও একে অপরকে আক্রমণ করে থাকেন। তবে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে ভাল সম্পর্ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অনেকেই মনে করছেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস–তৃণমূল কংগ্রেসের জোট হবে। বাংলার বিধানসভা বাম–কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধি নেই। এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগো বাংলাতেও কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছে। আজ, শনিবার কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে মুখ খুললেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ঠিক কী বলেছেন স্পিকার? এখন বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়ে গিয়েছে। এই অধিবেশনের ফাঁকে আজ, শনিবার ইন্দিরা গান্ধীর ১০৫ তম জন্মবার্ষিকীতে বিধানসভায় মাল্যদান করতে এসেছিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা তো চাই বহুদলীয় ব্যবস্থার মধ্যে কংগ্রেসের মতো জাতীয়তাবাদী দল, একশো বছরের পুরনো দলের প্রতিনিধি থাকুক। সিপিআইএম, যে দল ৩৪ বছর রাজত্ব করে গিয়েছে, তাঁদের কোনও প্রতিনিধিত্ব থাকবে না, এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক।’
আর কী বলেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ? এদিন কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘আমি মনে করি সর্বভারতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে গেলে তা হবে খুব দুর্ভাগ্যজনক। পরিষদীয় গণতন্ত্রের কংগ্রেসের মতো একটি শক্তিশালী দলের থাকা নিশ্চয়ই উচিত বলে আমি বিশ্বাস করি। কে কোন দলের হাত ধরবে, এটি তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। রাহুল গান্ধী এক কথা বলছেন। আবার তিনি যাঁদের সঙ্গে হাত মেলাতে চাইছেন, সাভারকরকে নিয়ে তাঁদের অন্য মত। তবে কংগ্রেসের মতো দলের প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে গিয়েছে বলে আমি মনে করি না। তবে কিছুটা তো ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে এটা ঠিক।’
তাহলে কী আবার হাতে জোড়াফুল উঠবে? এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আসন্ন পঞ্চায়েত এবং লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে দরজা খোলা রাখলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বাম–কংগ্রেস শূন্য হয়ে যাওয়া নিয়ে আগেও একাধিকবার মুখ খুলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে ওদের সঙ্গে আমার সংঘাত থাকতেই পারে। কিন্তু আমি কাউকে শূন্য হিসেবে দেখতে চাই না।’