বিধানসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল রাজ্যের বকেয়া আদায়ের স্বার্থে সর্বদল যাবে প্রধানমন্ত্রীর দরবারে। শাসকদল ও বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা সেখানে থাকবেন। বিজেপি বিধানসভার ভিতরে সেই প্রস্তাব সমর্থন করেছিলেন। বিষয়টি শুভেন্দু অধিকারীকে জানিযেছিলেন খোদ রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ফোন করেছিলেন। চিঠি পাঠিয়ছিলেন। এমনকী দাবিসনদ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরও বিরোধী দলনেতার পক্ষ থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক কী বলেছেন স্পিকার? এদিকে এবার নয়াদিল্লি গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী নাকি একশো দিনের টাকা নিয়ে দরবার করেছেন বলে বিজেপি সূত্রে খবর। যেখানে বিঘানসভার সর্বদল যাওয়ার কথা ছিল সেখানে তিনি একা কেন গেলেন? উঠছে প্রশ্ন। আর এখন এই নিয়ে কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছে না বিরোধী দলনেতার। বিষয়টি নিয়ে যারপরনাই ক্ষুব্ধ অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারীর কোনও সাড়া না পেয়ে পরিষদীয় মন্ত্রী বিধানসভার অধ্যক্ষকে নালিশ করেন। এই বিষয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, ‘বিধানসভার ভিতরে এই ব্যাপারে সর্বদলের যাওয়া নিয়ে সহমত হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তারপরেও কেন এটা হচ্ছে? তা খতিয়ে দেখব।’
কেন নালিশ করেছেন পরিষদীয় মন্ত্রী? জানা গিয়েছে, এই বিষয়টি নিয়ে সিনিয়র মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ফোন করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীকে। তারপর চিঠি লেখেন শুভেন্দু অধিকারীকে। এমনকী শুভেন্দু অধিকারী যে দাবিসনদ চেয়েছিলেন তাও পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বিরোধী দলনেতার পক্ষ থেকে কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। ফলে কাজও এগোয়নি। এই ঘটনার পর স্পিকারের কাছে নালিশ জানান পরিষদীয় মন্ত্রী। তাতে স্পিকার ক্ষোভপ্রকাশ করেন।
ঠিক কী বলছেন পরিষদীয় মন্ত্রী? এই ঘটনা নিয়ে পরিষদীয় মন্ত্রীও ক্ষুব্ধ। এই বিষয়ে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীকে ফোন করে পাচ্ছি না। যতবারই ফোন করি, ফোনে পাই না। বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দিল্লিতে পাঠানো নিয়ে ওরা যদি কোনও সদর্থক ভূমিকা না নেয় তবে আমরাই জানুয়ারি মাসে যাব। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলব। বিরোধীদের ছাড়াই সেক্ষেত্রে যেতে হবে।’