জয়ী বিধায়করা শপথ নিতে পারছেন না। কারণ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জেদ ধরে বসে রয়েছেন। তাই বরাহনগরের জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভগবানগোলার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী রেয়াত হোসেনের শপথগ্রহণ ঘিরে টালবাহানা চলছে বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। আজ, সোমবারও বিধানসভা চত্বরে ওই দুই জয়ী বিধায়ক ধরনায় বসেছেন। এই রোজ ধরনায় বসে থাকা এবং শপথ না হওয়া নিয়ে আজও তাঁরা রাজ্যপালকে চিঠি পাঠাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যা নিয়ে আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আবারও সৌজন্য দেখিয়ে রাজ্যপালের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের অনড় অবস্থানের মুখে দুই বিধায়কের বক্তব্য, উনি বিধানসভায় আসুন। আর বিধানসভাতেই শপথবাক্য পাঠ করান। এবার বিধানসভার অধ্যক্ষ এমন পরিস্থিতি দেখে আজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি চাই আজই শপথ হোক বিধায়কদের। সারা রাজ্যের মানুষ এটা দেখছেন। তামাশার জায়গা করে দিচ্ছেন। রাজ্যপালের এটা বোঝা উচিত। এখনও আমি তাঁর কাছে সৌজন্যের সঙ্গে আবেদন করব, আপনি আসুন ওদের শপথবাক্য পাঠ করান। আমি আপনাকে গেট থেকে রিসিভ করে বিধানসভায় নিয়ে আসব।’
আরও পড়ুন: রাজ্যজুড়ে বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গি, তালিকার প্রথম পাঁচে নাম রয়েছে কলকাতার
আজও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন সায়ন্তিকা–রেয়াতরা। সে কথা সাংবাদিকদের নিজেই জানালেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘ওদের চিঠির প্রেক্ষিতে আমিও আজ চিঠি লিখব। আমি আগেই বলেছি আবারও বলছি, রাজ্যপাল আসুন বিধানসভায় এবং ওদের শপথবাক্য পাঠ করান। আর যদি ওনার এখানে আসতে অসুবিধা থাকে তাহলে পরিষদীয় গণতন্ত্রের কনভেশন অনুযায়ী স্পিকারের উপর দায়িত্ব দিন শপথবাক্য পাঠ করানোর।’ অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনা নিয়ে আক্ষেপ করে নিজে রাজ্যপালকে চিঠি লিখে বিধানসভায় আসার আবেদন করেছেন।
এছাড়া বিকল্প কোনও পথ খুঁজে পাওয়া যায় কি না তা নিয়ে ভাবনা রয়েছে তাঁর। আইনি পরামর্শ নেওয়া চলছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে কথা বলেছেন অধ্যক্ষ। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘ওঁরা বিধানসভার সদস্য তাই এখানেই ওঁদের শপথ নেওয়া বাঞ্ছনীয়। এটা এর আগেও একাধিকাবার হয়েছে। রাজ্যপাল থাকাকালীন জগদীপ ধনখড় বিধানসভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় –সহ আরও দু’জনকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছিলেন। ওর অসুবিধা কোথায়? এটা তো জেদাজেদির বিষয় নয়। সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে নিজের দায়িত্ব নিয়ে চিন্তাভাবনা করা উচিত।’