সাত বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড মামলায় হাইকোর্ট তাঁর কাছে হলফনামা চালায় অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আদালতের এই নির্দেশ বিধানসভার কাজে হস্তক্ষেপের সামিল।
এদিন অধ্যক্ষ জানান, হাইকোর্ট তাঁর কাছে হলফনামা চাওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ। বিধানসভার অভ্যন্তরে নেওয়া কোনও সিদ্ধান্তের জন্য তাঁর কাছে হলফনামা চাওয়ার এক্তিয়ার আদালতের নেই। এভাবে বিধানসভার কাজে হস্তক্ষেপ করেছে হাইকোর্ট। যা সংবিধানবহির্ভূত।
পালটা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘অধ্যক্ষ আগে আইনজীবী ছিলেন। একটু খোঁজ খবর নিলে উনি বুঝতে পারতেন, আদালত সঠিক রাস্তায় গিয়েছে। আমি আদালতে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ করে দিয়েছি যে ওই দিন অধ্যক্ষ বিধানসভার রুল মেনে চলেননি’।
গত ২৮ মার্চ রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে শাসকদলের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ বাঁধে বিজেপির বিধায়কদের। এর পর বিজেপির পাঁচ জন বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন স্পিকার। স্পিকারের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন বিজেপির বিধায়করা। সেই মামলায় সোমবার স্পিকারের কাছে হলফনামা তলব করে কলকাতা হাইকোর্ট।