বিধানসভায় হই–হট্টগোল করে অধিবেশন ভেস্তে দেওয়া, শাসকদলের বিধায়কদের মারধর করা এবং অকারণে ওয়াকআউট করে হাজির না থাকার ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপি। সেটা দেখেছেনও বাংলার মানুষজন। ৫০ শতাংশ সময় দেওয়া হলেও বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যাওযা এবং হট্টগোল করেন বিরোধী দলের নেতারা বলে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আজ এই মন্তব্য নিয়ে রাজ্য– রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ঠিক কী বলেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ? মঙ্গলবার পানিহাটি মেলা উদ্বোধনে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যাঁরা নির্বাচিত হয়ে বিধানসভায় যাচ্ছেন, তাঁদের সবার বিধানসভায় থাকা উচিত। বিধানসভা হল এমন একটি জায়গা যেখানে সরকারের ত্রুটি বিচ্যুতি দেখানোর সুযোগ আছে বিরোধীদের কাছে। তাই আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। আইন কানুন আরও বেশি জানা উচিত, আরও পড়াশোনা করা উচিত বিরোধীদের।’
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? বিরোধীদের বিধানসভার আইনকানুন নিয়ে আরও বেশি সচেতন হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। কারণ সম্প্রতি বিধানসভার অধিবেশনে দেখা গিয়েছে, নানা ইস্যুতে ওয়াকআউট করেছেন বিরোধীরা। বিধানসভা কক্ষের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। অনেকে খয়রাতির সরকার বলে উপহাস করেছেন রাজ্য সরকারকে। তিনি জানান, বিধানসভায় ৫০ শতাংশ জায়গা থাকে শাসকের জন্য। ৫০ শতাংশ সুযোগ থাকে বিরোধীদের জন্য। কিন্তু সেটা বিরোধীরা পালন করছেন না।
উল্লেখ্য, এবারের বিধানসভা অধিবেশনে বিরোধীদের শাসকের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী তিনি সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বিধানসভায় তাঁর কক্ষে ডেকেও পাঠিয়েছিলেন। এরপরও শাসক–বিরোধী তরজা থামেনি। তারপরও অধিবেশন চলাকালীন বিরোধীরা বিক্ষোভ দেখিয়ে সভা ভেস্তে দিতে চেয়েছিলেন। কুরুচিকর ভাষায় সরকার এবং অধ্যক্ষকেও আক্রমণ করা হয়েছিল।