শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া সৌম্যদীপ মণ্ডলের খোঁজ মিলল। শক্তিগড় থেকে তাঁকে পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ যখন তাঁকে উদ্ধার করে, তখন বিধ্বস্ত অবস্থায় ছিলেন সৌম্যদীপ। কিন্তু কীভাবে তিনি ওখানে গেলেন, সে সম্পর্কে পুলিশ এখনও কিছু জানতে পারেনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, সারাদিন কিছু খাননি সৌম্যদীপ। সৌম্যদীপকে তাঁর বাবার হাতে তুলে দিয়েছেন আরপিএফ অফিসাররা। পুলিশকে সৌম্যদীপ জানিয়েছেন, সে বসিরহাটে ফিরে যেতে চায়। জানা গিয়েছে, বসিরহাটেই সৌম্যদীপের বাড়ি।কিন্তু কীভাবে সৌম্যদীপ শক্তিগড়ে এল, পুলিশ তা জানার চেষ্টা করছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নিখোঁজ ছিল প্রেসিডেন্সির এই ছাত্র। সৌম্যদীপের বাবা দীপক মণ্ডল জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল ছটার সময় শেষ বার কথা হয়েছিল সৌম্যদীপের সঙ্গে। তারপর যতবার ফোন করা হয়েছে, রিং বেজেই যাচ্ছিল। কেউ ফোন ধরেননি। সৌম্যদীপের বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত সৌম্যদীপের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে খোঁজ মেলায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন সৌম্যদীপের পরিবারের সদস্যরা।
এর আগে চলতি বছরের মার্চ মাসে সল্টলেকের এই ব্লকে ১০ তলা বাড়ি থেকে পড়ে মৃত্যু হয় এমএসসির প্রথম বর্ষের ছাত্র পার্থ সারথী পালের। তবে এই মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছিল। পার্থের মৃত্যুর পর কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। ফলে পুলিশ ওই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলতে পারছিল না। পার্থর পরিবারের সদস্যদের অবশ্য অভিযোগ, তাদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে। ওই ঘটনার পর প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক পড়ুয়ার নিখোঁজের ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। যদিও তাঁকে পাওয়া গিয়েছে, তবে তাঁকে ঘিরেও রহস্য থেকেই যাচ্ছে।