বৃষ্টির জেরে গত কয়েকদিনে রাজ্যজুড়ে মৃত্যু হল ১৪ জনের। সোমবার বিকেলে নবান্নে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট পেশ করেছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় জেলায় অতিবর্ষণের জেরে গত ১৪ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মোট ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবারের পর এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৃত ১৪ জনের মধ্যে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৮ ব্যক্তির। দেওয়াল ভেঙে ও বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে বাকি ৬ জন মারা গিয়েছেন।
জলে ডুবে মৃতদের মধ্যে সাত জন পশ্চিম মেদিনীপুর ও ১ জন পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুরের অরবিন্দ জানা নামে এক ব্যক্তি নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত রাজ্যের ৪৭ টি ব্লক, এবং ৮ টি পুরসভা পুরোপুরি জলের তলায়। জলবন্দি হয়ে রয়েছেন ১৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৩২৮ জন মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ পেরিয়েছে।
বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্যজুড়ে ৫৭৭টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ৮০ হাজারের বেশি মানুষ সেই ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। জলমগ্ন এলাকাগুলো থেকে ১ লক্ষ 8১ হাজার মানুষকে সুরক্ষিত জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বিপর্যয়ের এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য জেলাশাসকদের তহবিল মঞ্জুর করেছে নবান্ন। এছাড়াও নবান্নে ২৪ টা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পরবর্তী পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে জেলা ও রাজ্য প্রশাসন।