একের পর এক এটিএম প্রতারণা। এটিএম থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উধাও হয়ে যাচ্ছে। অথচ এটিএম মেশিন অক্ষত থেকে যাচ্ছে। কাশীপুর, যাদবপুর, নিউ মার্কেট, বউবাজারে একের পর এক এটিএম থেকে টাকা উধাওয়ের জেরে এবার পুলিশের কপালে চিন্তার ভাঁজ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান অত্যাধুনিক ডিভাইস ব্যবহার করা হয়েছে এই টাকা হাতানোর ঘটনায়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই পুলিশ দেখেছে মাস্ক পরা তিনজন এটিএম সেন্টারে ঢুকছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়েছে এই ছবি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এক থেকে দেড় ঘণ্টা ধরে অপারেশন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। কোথাও ৩৫টি, কোথাও আবার ৯০টি লেনদেনের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাওয়া করে দিয়েছে প্রতারকরা।
এদিকে তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পারেন উত্তরপ্রদেশে ফরিদাবাদে একই কায়দায় এটিএম প্রতারণা হয়েছিল। ফরিদাবাদের সেই গ্যাংটি কলকাতায় ঘাঁটি গেড়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি গত কয়েকবছরে ব্যাঙ্ক ও এটিএম রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে যুক্ত কারা চাকরি ছেড়েছেন সেটাও দেখতে চাইছে পুলিশ। তবে যে কোম্পানি টাকা ভরে তাদের টাকাই লুঠ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে ব্যাঙ্কের কাছে এত বিপুল অঙ্কের টাকা বের করার কোনও সিগন্য়াল গিয়েছিল কি না সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
অন্যদিকে গোটা ঘটনায় তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও কথা বলতে চাইছে পুলিশ। এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, এটিএম মেশিন সম্পর্কিত কোনও গোপন তথ্য পুলিশকে দিতে নারাজ হিতাচি। তাদের কর্মীরাই মেশিন খুলবে বলে জানানো হয়েছে হিতাচির তরফে। এর জেরে নোটিস পাঠিয়ে হিতাচির লোকজনকে ডেকে পাঠিয়েছে পুলিশ। গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা বলেন, ফরিদাবাদের ঘটনার সঙ্গে মিল পাওয়া যাচ্ছে। সেখানকার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।