নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এক একজন চরিত্রের রঙিন জীবন প্রকাশ্যে আসতেই হকচকিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যবাসী। তা সে 'অপা' জুটি হোক, কি গোপাল দলপতি এবং তাঁর স্ত্রীর সম্পর্ক... আর এবার সবার নজর গিয়ে পড়েছে অয়ন-শ্বেতার 'প্রেম'। ধৃত শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে শ্বেতা চক্রবর্তী নামক এক যুবতীর। জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি পুরসভার উলটোদিকে জগন্নাথ নিকেতনে অয়ন-শ্বেতার একটি ফ্ল্যাট আছে। এই আবহে শ্বেতার দিকে নজর রয়েছে ইডির। ইডি দাবি করেছে, এই শ্বেতা আদতে অয়নের 'ঘনিষ্ঠ বান্ধবী'। যদিও এই নিয়ে অনয়ের প্রতিবেশীরা বিস্ফোরক দাবি করলেন। তাঁদের বক্তব্য, এতকাল ধরে তাঁরা জেনে এসেছিলেন যে শ্বেতার মামা হলেন অয়ন। মামা-ভাগ্নির পরিচয়েই সেই আবাসনে থাকতেন দু'জন। (আরও পড়ুন: অধিকার আদায় করতে বড় পদক্ষেপ, ডিএ আন্দোলকারীদের গলায় উঠল 'দিল্লি চলো' রব)
প্রতিবেশীদের অনেকেই সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, অয়ন বা শ্বেতা কেউই তাঁদের সঙ্গে খুব একটা মেলামেশা বা কথা বলতেন না। একবছর আগেই সেই আবাসনে এসেছিলেন দু'জন। অবশ্য, অয়নকে নাকি বহুদিন ধরে সেই আবাসনে দেখেননি কেউ। তবে গত সপ্তাহেই নাকি শ্বেতা সেখানে এসেছিলেন গাড়ি করে। এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, পেশায় মডেল শ্বেতা কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার পদে রয়েছেন। ইডি জানিয়েছে, সল্টলেকে অয়নের অফিস থেকে উদ্ধার করা অ্যাকাউন্টের নথিতে এই শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম রয়েছে। শ্বেতা চক্রবর্তীর সঙ্গে ধৃত প্রোমোটার অয়ন শীলের বিপুল আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। অয়নের অ্যাকাউন্ট থেকে এই যুবতীর অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এবার কলকাতাতে, স্বাক্ষরিত মউ, কাজ পাবেন ৩০,০০০
জানা গিয়েছে, শ্বেতার বাড়ি নৈহাটির ৭ নম্বর বিজয়নগর কলোনির জেলেপাড়ায়। ২০১৬ সালে কামারহাটি পুরসভার সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরি শুরু করেন শ্বেতা। এদিকে অয়ন ও শ্বেতাকে নিয়ে যখন গোটা বাংলা তোলপাড়, তখন অয়নের বৃদ্ধ বাবা সদানন্দবাবু এবং মা অমিতা দেবী স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি করে ফেলেছেন নিজেদের। জগুদাসপাড়ার বাড়িতে এই বৃদ্ধ দম্পতি একা থাকেন। সদানন্দবাবু ছাত্র পড়ান। অয়নের কীর্তি নিয়ে সদানন্দবাবুর বক্তব্য, 'সব কিছু তো ফর্মুলা মেনে হয় না। অনেক ঘটনাই তো এমন ঘটে। তবে আমি আপসেট।'