বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Haridevpur Murder Case: ‘মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, মা নয়’‌, সিবিআই তদন্ত দাবি করলেন অয়নের বাবা

Haridevpur Murder Case: ‘মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, মা নয়’‌, সিবিআই তদন্ত দাবি করলেন অয়নের বাবা

মৃত অয়ন মণ্ডল 

আজ কলকাতা পুলিশের হাতে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এসেছে। সেখানে পরিষ্কার উল্লেখ রয়েছে, অয়ন মণ্ডলকে খুন করা হয়েছে। আর ভোঁতা–শক্ত কোনও বস্তু দিয়ে বারংবার আঘাত করা হয়েছে মাথায়। যা সহ্য করতে পারেনি যুবক অয়ন। আর তার ফলেই মারা যায় সে। রিপোর্টে এই কথাই লেখা আছে বলে সূত্রের খবর। 

মা–মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল অয়নের। এই দাবি খুনের পরই করেছিলেন অয়নের বাবা অমর মণ্ডল। তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে ছেলের মৃত্যুর পর বলেছিলেন, ‘‌মা–মেয়ে দু’জনেই ছেলেকে চাইত, ও কী করবে?’‌ আর আজ, সোমবার তিনিই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে জানালেন, এগুলি তাঁর বক্তব্য নয়। পুলিশ জোর করে তাঁকে দিয়ে বলিয়েছে। ফলে দু’‌রকম কথা উঠে আসায় তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। আর আজ তিনি সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন।

ঠিক কী বলেছেন আজ অয়নের বাবা?‌ আজ, সোমবার অয়নের বাবা হরিদেবপুর থানার এক পুলিশ আধিকারিকের নামে হেনস্থার অভিযোগ করেছেন। আর তখনই পুলিশের বিরুদ্ধে অয়নের বাবা বলেন, ‘‌পুলিশের উপর আমার কোনও আস্থা নেই। সিবিআই তদন্ত হলেই আমার মরা ছেলে ন্যায়বিচার পাবে। বাবা হয়ে বলছি, অয়ন খুব ভাল ছেলে ছিল। অয়নের শুধু মেয়েটার সঙ্গেই ভালবাসার সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির মায়ের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল না।’‌ দু’‌দিন পর কেন বয়ান বদল করলেন অয়নের বাবা?‌ পুলিশ কেন এমন বলতে বলেছিলেন?‌ উঠছে প্রশ্ন।

ঠিক কী ঘটেছিল হরিদেবপুরে?‌ বিজয়া দশমীর রাতে বান্ধবীর বাড়িতে গিয়েছিলেন অয়ন মণ্ডল। এই যুবক হরিদেবপুরের বাসিন্দা, পেশায় অ্যাপ–বাইক চালক। সেখানে যাওয়ার পর থেকে আর সে বাড়ি ফেরেনি। এমনকী তার কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তার পর মগরাহাটের মাগুরপুকুরে অয়নের মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা খবর দেন মগরাহাট থানায়। সেখানে গিয়ে পরিবারের সদস্যরা মৃতদেহ চিহ্নিত করেন। আর তদন্তে নেমে অয়নের বান্ধবী, বান্ধবীর বাবা, মা, নাবালক ভাই–সহ মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ আজ কলকাতা পুলিশের হাতে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এসেছে। সেখানে পরিষ্কার উল্লেখ রয়েছে, অয়ন মণ্ডলকে খুন করা হয়েছে। আর ভোঁতা–শক্ত কোনও বস্তু দিয়ে বারংবার আঘাত করা হয়েছে মাথায়। যা সহ্য করতে পারেনি যুবক অয়ন। আর তার ফলেই মারা যায় সে। রিপোর্টে এই কথাই লেখা আছে বলে সূত্রের খবর। মোবাইলে বান্ধবী এবং তাঁর মায়ের সঙ্গে অয়নের ঘনিষ্ঠ ছবি ছিল। সেটা অয়ন অন্যান্য বন্ধুদের দেখিয়েছিল। বিষয়টি জানাজানি হতেই মোবাইল নিতে চেয়েছিল বান্ধবীর মা। তা নিয়েই সেদিন বচসা হয়। সেখান থেকেই পরিণতি খুন। আর সেদিনই মেয়ের সঙ্গে অয়নকে অপ্রীতিকর অবস্থায় দেখে ফেলে বান্ধবীর মা। তবে অয়নের ফোনটি উদ্ধার হলেই আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

বন্ধ করুন