বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Haridevpur Murder Case: অয়নের মানিব্যাগ উদ্ধার, প্রীতির সঙ্গে ফোনালাপ, কে এই মেডিক্যাল পড়ুয়া?‌

Haridevpur Murder Case: অয়নের মানিব্যাগ উদ্ধার, প্রীতির সঙ্গে ফোনালাপ, কে এই মেডিক্যাল পড়ুয়া?‌

নিহত অয়নের বান্ধবী প্রীতি জানা

পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার তদন্তে নেমে প্রীতির বাড়ির পিছন থেকে তাঁর মানিব্যাগ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাতে দু’টি ডেবিট কার্ড এবং একটি ছবি পাওয়া গিয়েছে। সেটি কার ছবি সেটা তদন্তের স্বার্থে গোপন রাখা হয়েছে। খুনের সময় বান্ধবী, তাঁর মা এবং নাবালক ভাই উপস্থিত ছিল। পরে বাকিরা সেই দেহ সরাতে সাহায্য করে।

অয়ন মণ্ডল খুনের ঘটনায় আবার চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ। নিহত অয়নের শরীরে মোট ১৮টি আঘাতের চিহ্ন মিলেছে বলে আলিপুর আদালতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জমা দিয়ে এমনই তথ্য জানিয়েছেন মুখ্য সরকারি কৌঁসুলি সৌরীন ঘোষাল। আবার অভিযুক্ত প্রীতি জানার সঙ্গে নিয়মিত ফোনালাপ চলত নদীয়ার বাসিন্দা এক মেডিক্যাল পড়ুয়ার। অয়নকে খুনের দিনেও সাত–আটবার তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে। প্রীতির মোবাইলের কললিস্ট ঘেঁটে তদন্তকারীরা ওই ডাক্তারি পড়ুয়ার নম্বর খুঁজে পান। কে তিনি? খুনের নেপথ্যে তাঁর কোনও ভূমিকা আছে?‌ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আর কী তথ্য উঠে এসেছে?‌ সরকারি কৌঁসুলি সৌরীন ঘোষাল এবং শুভাশিস ভট্টাচার্য আদালতে জানান, ধৃতদের কাছ থেকে ৬টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে একটি রক্ত মাখা নোড়া এবং রক্ত মাখা কাপড়। আর লালবাজার সূত্রে খবর, অয়নের মানিব্যাগটি উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃত অয়নের বান্ধবীর বাড়ির পিছনে একটি ঝোপে পড়েছিল। প্রীতিকে জেরা করেই সেটি উদ্ধার করা হয়েছে। ব্যাগ থেকে দু’টি এটিএম কার্ড, কিছু টাকা এবং এক তরুণীর ছবি উদ্ধার হয়েছে। অয়ন খুনের মামলায় ধৃত প্রীতি, তাঁর বাবা দীপক জানা, মা রুমা জানা, রাহুল রায় এবং সুজিতকুমার যাদবকে আগামী ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

ঠিক কী ঘটেছিল হরিদেবপুরে?‌ বিজয়া দশমীর রাতে হরিদেবপুরের বান্ধবীর বাড়িতে গিয়েছিলেন যুবক অয়ন মণ্ডল। তাঁর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে ডাকা হয়েছিল। মা–মেয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ছবি, ভিডিয়ো ছিল অয়নের মোবাইলে। তাই ওই নোবাইল নিজেদের হেফাজতে নিতেই ডাকা হয়েছিল। তারপর থেকে নিখোঁজ হয়ে যান যুবক অয়ন। একদিন পরে একাদশীর দিন সকালে মগরাহাটে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। বিজয়া দশমীর রাতে হরিদেবপুরের বান্ধবীর বাড়িতে অয়নকে খুন করে তা মগরাহাটে ফেলে এসেছিল অভিযুক্তেরা বলে তদন্তে উঠে আসে।

পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার তদন্তে নেমে প্রীতির বাড়ির পিছন থেকে তাঁর মানিব্যাগ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাতে দু’টি ডেবিট কার্ড এবং একটি ছবি পাওয়া গিয়েছে। সেটি কার ছবি সেটা তদন্তের স্বার্থে গোপন রাখা হয়েছে। খুনের সময় বান্ধবী, তাঁর মা এবং নাবালক ভাই উপস্থিত ছিল। পরে বাকিরা সেই দেহ সরাতে সাহায্য করে।

বন্ধ করুন