যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বাবুল সুপ্রিয় যখন ছাত্র বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন, সেই সময় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় নিজে পৌঁছে গিয়েছিলেন সেখানে। সেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের জেরেই আজ বাবুল সুপ্রিয়র বিধায়ক পদে শপথে বিলম্ব ঘটছে। এই আবহে শেষমেষ মুখ খুললেন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাবুল। গত সন্ধ্যায় এই বিষয়ে টুইট করে রাজ্যপালকে কিছুটা ‘দয়াবান’ হওয়ার আর্জি জানান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। (আরও পড়ুন: ‘চাকরির নামে কুকুরের মল পরিষ্কার করানো হত’, রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তরুণীর)
টুইট বার্তায় বাবুল এই নিয়ে লেখেন, ‘বিধায়ক পদে আমার 'শপথ' গ্রহণে বিলম্ব হওয়ায় (সবকিছু সত্ত্বেও) আমি খুবই হতাশ। নিজেদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে বালিগঞ্জ আমাকে নির্বাচিত করার পর ইতিমধ্যেই দু-সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। আমার মনে হয় এই আবহে সম্মানীয় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় আমার প্রতি আরেকটু দয়াবান হতে পারতেন। ধৈর্য ধরে ধৈর্যের অনুশীলন করাই এখন আমার কাজ।’
প্রসঙ্গত, বালিগঞ্জ বিধানসভা উপ-নির্বাচনের পর জয়ী তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়র শপথের জন্য ফাইল তৈরি করে রাজভবনে পাঠানো হয়। বিধানসভা থেকে রাজ্যপালের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়, যাতে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বিধানসভা থেকেই করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে অধ্যক্ষ যাতে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করতে পারেন। কিন্তু সেই ফাইল হাতে পেয়ে বিধানসভার উপর বেশ কিছু 'শর্ত' আরোপ করেন রাজ্যপাল। তাঁর বক্তব্য, তিনি বিধানসভা সংক্রান্ত যা যা প্রশ্ন তুলেছেন, সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিলে তবেই ফাইলে সই করবেন। এরপর শপথগ্রহণ সংক্রান্ত ফাইলটি বিধানসভায় ফেরত পাঠিয়ে দেন তিনি। বিধানসভার সচিবকে রাজভবনে ডেকেও পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল।