সাইডলাইনের বাইরে বসবেন না বলে সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু তার পরও তাঁর নাম দেখা যায়নি উপ-নির্বাচনে তৃণমূলের তারকা প্রচারকের তালিকায়। তাতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তবে কি বাবুলকে সাইডলাইনের বাইরে বসিয়ে দিল তৃণমূলও? রবিবার এই নিয়ে শোরগোল শুরু হতে জবাব দিলেন বাবুল নিজেই। টুইট করে তৃণমূল নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তকে বিচক্ষণ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন।
সম্প্রতি চার কেন্দ্রে উপ-নির্বাচনের জন্য তারকা প্রচারকদের তালিকা কমিশনের কাছে জমা দিয়েছে তৃণমূল। তাতে নাম রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে মিমি চক্রবর্তী ও দীপক অধিকারীর। কিন্তু নাম নেই বাবুলের। এতেই শুরু হয় শোরগোল। গত ১৮ সেপ্টেম্বর নাটকীয়ভাবে তৃণমূলে যোগদানের পর গত বুধবার মমতার সঙ্গে এক মঞ্চে দেখা যায় বাবুলকে। দলবদল করলেও কি সম্পর্কের বরফ গলেনি এখনো? এমন প্রশ্নও উঠতে শুরু করে।
জবাবে বাবুল এদিন সোশ্যাল সাইটে লেখেন, ‘এতে কোনও কঠিন সূত্র নেই। মনে রাখবেন, আমি এখনো বিজেপি সাংসদ। গতকালও অমি মাননীয় স্পিকার স্যারকে সময় চেয়ে চিঠি দিয়েছি, যাতে আমি নিয়ম মেনে পদত্যাগ করতে পারি। ঘাঁটি বদলের পর কলকাতায় কিছুটা দেওয়ার জন্য তৃণমূল নেতৃত্ব অত্যন্ত বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
বাবুলের এই মন্তব্য বিতর্ক ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাদের মতে, তৃণমূলে বাবুলের বাস কতটা সুখের হবে তা নিয়ে তর্ক রয়েছে। বিজেপিতে থাকাকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে ভাবে বাবুল আক্রমন করেছেন তাতে তাঁকে দ্রুত দলের মুখ হিসাবে জনতার সামনে আনতে চাইছে না ঘাসফুল নেতৃত্ব।