আসানসোলের সাংসদ হিসেবেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তবে শীঘ্রই সাংসদ পদ ছাড়তে চলেছেন। এমনটাই জানালেন বাবুল সুপ্রিয়। তারপরই জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে কি বাবুলকে রাজ্যসভায় পাঠানো হচ্ছে? নাকি অন্য কোনও বড় দায়িত্ব দেওয়া হবে বাবুলকে?
রবিবার পার্ক স্ট্রিটে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এবং ডেরেক ও'ব্রায়ানের পাশে বসে বাবুল জানান, আসানসোলের সাংসদ পদ ছাড়তে চলেছেন তিনি। যা বিজেপির টিকিটে জিতেছেন। আগামী বুধবার দিল্লিতে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা আছে। সেদিন যদি স্পিকার সময় দেন, তাহলে বুধবারই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছেন বাবুল। তাঁর কথায়, ‘বুধবার দিল্লিতে পৌঁছাব। যদি মাননীয় স্পিকার আমায় সময় দেন, তাহলে বুধবারই আমি আসানসোলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেব।’
সেই সাংসদ পদ ছাড়ার ঘোষণার পরই জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে বাবুলের সামনে কোনও ‘বড় সুযোগ’ এসেছে? বিষয়টি নিয়ে বাবুল মুখ খুলতে চাননি। তিনি জানিয়েছেন, পুরোটাই বলবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও রাজনৈতিক মহলের একটি অংশের বক্তব্য, বাবুলকে রাজ্যসভায় পাঠানো হতে পারে। সেজন্য অর্পিতা ঘোষ পদত্যাগ করেছেন। তাঁর জায়গায় বাবুলকে পাঠাতে পারে তৃণমূল। যদিও একটি অংশের বক্তব্য, তৃণমূল এখন বাইরের রাজ্যে পাখির চোখ করছে। সেই পরিস্থিতিতে বাবুলকে রাজ্যসভায় পাঠালে তেমন কোনও লাভ হবে না তৃণমূলের। তাই সেখানে বাইরের রাজ্যের কাউকে পাঠানো হতে পারে। বরং রাজ্যে তাঁকে কোনও মন্ত্রী করা হতে পারে।
সেই জল্পনার মধ্যে রবিবার বাবুল বলেন, 'প্রথম একাদশে সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি মমতা দিদি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিংয়ের বিষয়ে আমি জানি। গত সাত বছর ধরে আমি রাজনীতিতে আছি। জনকল্যাণে (তৃণমূলে যোগ) দেওয়াটা ভালো সুযোগ বলে মনে করছি।'