বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে নয়াদিল্লি ডেকে পাঠিয়েছেন সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডা। আর তার আগেই বাবুল সুপ্রিয়, সৌমিত্র খাঁকে শোকজ করল গেরুয়া শিবির। সুতরাং দলের অন্দরে ফাটল স্পষ্ট হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকী বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতির পদ থেকে সরানো হতে পারে সৌমিত্র খাঁকে বলে সূত্রের খবর। সেখানে তিনজনের নাম নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ, রানাঘাটের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী, ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্দা। তবে এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি।
দলীয় সূত্রে খবর, সোশ্যাল মিডিয়াতে দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা টুইট, পোস্ট করার জেরেই বাবুল সুপ্রিয়, সৌমিত্র খাঁকে শোকজ করল বিজেপি। এমনকী কারণ দর্শানোর চিঠি ধরানো হয়েছে বিজেপির মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক অমৃতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। একুশের নির্বাচনে পরাজয়ের পর সংগঠন টিকিয়ে রাখা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। সেখানে কারণ দর্শানোর চিঠি দলকে আড়াআড়িভাবে দুটি ভাগে ভাগ করে দিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা। তবে শুক্রবারই বিজেপির দিলীপ ঘোষ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, কেউ দলীয়শৃঙ্খলা ভাঙার চেষ্টা করলে দল তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে। তারপরেই এলো চিঠি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের দিনই রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি পদে ইস্তফা দেন তিনি। তোপ দাগেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। ফেসবুক লাইভে শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষকে নিশানা করেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ। এভাবে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ্যে মুখ খোলার জন্যই কারণ দর্শানোর চিঠি বলে মনে করা হচ্ছে। আবার ওইদিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবুল সুপ্রিয় লিখেছিলেন, ‘আমাকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে।’ পরে বাবুল লেখেন, ‘ইস্তফা দিতে বলা হয়েছিল কথাটা হয়ত এভাবে ব্যবহার করা ঠিক নয়।’ এইসব কারণে দলের বিড়ম্বনা বাড়তে থাকে। তার জেরেই শোকজ চিঠি পেলেন তাঁরা।