সোমবার বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর হাত ধরে তৃণমূল ভবনে দলীয় পতাকা তুলেছিলেন! মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন বনগাঁর উত্তরের বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। এদিন ক্যামাক স্ট্রিটের একটি হোটেলে শিল্পমন্ত্রী তথা দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরলেন! ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেন বিশ্বজিৎ দাস।
অনেকদিন ধরেই বিজেপির কোনও অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা যাচ্ছিল না। তাঁকে প্রশ্ন করলে একাধিকবার তিনি এই বিষয়টি এড়িয়ে যান। শুরুটা হয়েছিল বিধানসভার অধিবেশনের শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলা এবং প্রণাম করার পর থেকেই। তখন থেকেই দলবদলের জল্পনা চলছিল। এমনকী কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ওখানে যখন যায় তখনও তিনি এড়িয়ে যান উপস্থিত না হয়ে। শেষমেষ সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ তৃণমূল কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন। তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘একটা পরিস্থিতিতে ভুল করেছিলাম। যা হওয়ার ছিল না। বাংলার ঘরে ঘরে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় পৌঁছে গিয়েছেন। এখন পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প নেই। বিজেপিতে কাজের পরিবেশ নেই। বহিরাগত নেতৃত্বের উপর মানুষ আকৃষ্ট হন না।’
তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরেই বিশ্বজিৎ দাস বিজেপির নেতৃত্ব বহিরাগত বলে কটাক্ষ করলেন। এমনকী এরা বাংলা ভাষা বোঝে না বলেও দাবি করেন। তিনি বেজপিতে থেকে মানুষের জন্য কাজ করতে পারছিলেন না বলে জানিয়েছেন। কারণ কাজ করার মতো পরিবেশ নেই। তাঁর দাবি, আগামী দিনে সারা ভারতবর্ষকে পথ দেখাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!
উল্লেখ্য, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। বিধানসভা ৭৭ আসন পায় বিজেপি। যদিও এরপর বিধায়ক পদ ছাড়েন দু’জন। পদত্যাগ করেন নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার। সাংসদ পদেই বহাল থাকেন তাঁরা। এরপর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসেন মুকুল রায়। তখন বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়ায় ৭৪। তন্ময় ঘোষ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় সেটা দাঁড়ায় ৭৩। এবার বিশ্বজিৎ দাস বিজেপি ত্যাগ করায় সংখ্যা দাঁড়াল ৭২।