চেষ্টা করেও তাঁর দেখা পায়নি পরিবার, দেহ উদ্ধারের পর কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ মমতার

ফিরহাদ বলেন, ‘বাগুইআটিতে ২ কিশোরের মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রী ব্যথিত। ওসির আরও তৎপর হওয়া উচিত ছিল। পুলিশের আরও তৎপর হওয়া উচিত ছিল। পুলিশের কিনারা করতে সমস্যা হলে সিআইডির সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল। মুখ্যমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (Samir Jana/HT Photo)

বাগুইআটিতে ২ কিশোরকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় ব্যথিত মুখ্যমন্ত্রী। এই ঘটনায় ডিজিকে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কাউকে ছাড়া হবে না। শহরজোড়া শোরগোলের মধ্যে বুধবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানালেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই এদিন বাগুইআটি থানার আইসি কল্লোল ঘোষকে ক্লোজ করার নির্দেশ দেন ডিজি মনোজ মালব্য।

ফিরহাদ বলেন, ‘বাগুইআটিতে ২ কিশোরের মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রী ব্যথিত। ওসির আরও তৎপর হওয়া উচিত ছিল। পুলিশের আরও তৎপর হওয়া উচিত ছিল। পুলিশের কিনারা করতে সমস্যা হলে সিআইডির সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল। মুখ্যমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ওসিকে ক্লোজ করা হল। আর এই তদন্ত সিআইডির হাতে দিয়ে দেওয়া হয়েছে’।

বিন্দুমাত্র ভয় নেই শরীরে! যশের সঙ্গে ডেঞ্জার জোনে নুসরত, দেখলেই গায়ে কাঁটা দেবে

তিনি জানান, ‘পরিবারের পাশে আমরা আছি এই দুঃখের সময়। ছোট ছোট ২টো ছেলের এই পরিণতিতে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও বেদনায় আছেন। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে। কাউকেই ছাড়া হবে না। মুখ্যমন্ত্রী এটা এক্ষুণি ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছেন’।

মঙ্গলবার বিকেলে ২ কিশোরের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কেন ১২ দিন বসিরহাট পুলিশ মর্গে দেহ ২টি পড়ে থাকলেও বাগুইআটি থানা তার সন্ধান পেল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নিহত অতনু দে ও অভিষেক নস্করের পরিবার। পরিবারের অভিযোগ, ছেলেদের ফিরে পেতে ৩ বার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীদের বাধায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তাঁরা।