বাগুইআটির ২ কিশোরকে অপহরণ ও খুনের তদন্তে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। তদন্তে প্রক্রিয়াগত সমস্ত দিক মেনে চলা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে শাস্তির মুখে পড়তে পারেন এই ঘটনার তদন্তকারী আধিকারিকসহ একাধিক পুলিশ আধিকারিক।
বাগুইআটির মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অতনু দে ও অভিষেক নস্করের অপহরণ ও খুনে পুলিশি তদন্তে গাফিলতি রয়েছে বলে দাবি করেছে মৃত ২ কিশোরের পরিবারের সদস্যরা। তাদের দাবি, গত ২৩ অগাস্ট বাগুইআটি থানায় গেলেও তাদের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি। পরদিন অভিযোগ গ্রহণ করা হলেও পুলিশ আধিকারিকরা দাবি করেন, ২ কিশোর কোথাও বেড়াতে চলে গিয়েছে। এর পর প্রায় প্রতিদিনই তদন্তে অগ্রগতি জানার জন্য থানায় তদ্বির করতে থাকেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশের তরফে তেমন উদ্যোগ চোখে পড়েনি বলে অভিযোগ তাদের।
চার মাসেই শেষ হচ্ছে TRP-র দৌড়ে পিছিয়ে পড়া 'লালকুঠি'? মুখ খুললেন রাহুল
পরিবারের সদস্যদের দাবি, মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীর ছবি পুলিশকে দেওয়া হলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পরিবারের দাবি, পুলিশের তরফে জানানো হয় তদন্ত চলছে সন্তর্পণে। নইলে ২ কিশোরের বিপদ হতে পারে বলে জানানো হয়েছিল তাদের।
পুলিশের দাবি, গত ২২ অগাস্ট রাতে অপহরণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই খুন করা হয় অতনু দে ও তার পিসতুতো ভাই অভিষেক নস্করকে। গাড়ির ভিতরে গলায় ফাঁস দিয়ে তাদের খুন করে সত্যেন্দ্র ও তার ৪ সহযোগী। এর পর দিন উদ্ধার হয় অতনুর দেহ। ২৪ অগাস্ট উদ্ধার হয় অভিষেকের দেহ। ২টি দেহই ১২ দিন ধরে পড়ে ছিল বসিরহাট পুলিশ মর্গে। পরিবারের দাবি, কেন এতদিন এই খবর জোগাড় করতে পারল না বাগুইআটি থানা?
যদিও বিধাননগরের গোয়েন্দা প্রধান বিশ্বজিৎ ঘোষের দাবি তদন্ত হয়েছে নিয়ম মেনেই। কিন্তু মাত্র ৫০,০০০ হাজার টাকার জন্য ২ জন কিশোরকে কেউ মেরে ফেলতে পারে তা কল্পনা করতে পারেননি।
ওদিকে এই ঘটনার তদন্তে পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ তুলে বুধবার সকাল থেকে বাগুইআটি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিজেপি। বেলা বাড়লে বিক্ষোভে যোগ দেয় বামেরা। ওদিকে পরিবার ও এলাকাবাসীর তরফে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি উঠেছে। পরিবারের সদস্যদের স্পষ্ট দাবি, গাফিলতির অভিযোগ যখন পুলিশের বিরুদ্ধে তখন পুলিশি তদন্ত নিরপেক্ষ হতে পারে না।