বাগুইআটিতে ২ কিশোরের অপহরণ ও খুনের ঘটনায় থানার সামনে বিজেপির বিক্ষোভে যোগ দিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার তিনি দাবি করেন, বাগুইআটি থানার বিদায়ী ওসি কল্লোল ঘোষ একজন চোর – ডাকাত। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোট লুঠ করতে মোটা টাকা দিয়ে তাঁকে বাগুইআটিতে এনেছেন উত্তর ২৪ পরগনা যুব তৃণমূলের সভাপতি দেবরাজ চক্রবর্তী।
এদিন প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পুলিশ মন্ত্রীও বটে, তিনি যখন মিডিয়াতে ঝড় ওঠে, বিরোধীরা সোচ্চার হয় তখন ইস্যুটাকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি অনেক রকম ছলাকলা করেন। আমরা জানি, মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা কথা না বলে জলগ্রহণ করেন না। সারাদিন মিথ্যা কথা বলতে বলতে তাঁকে এগোতে হয়। তিনি গত বিধানসভায় জিতেছেন জেহাদিদের সমর্থনে আর পুলিশের সাহায্যে। এখন শুধু পুলিশরা টিকে আছে। যে পুলিশের সাহায্যে খেলা মেলা, রক্তদান, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তার ভাইপোর মিটিংয়ে গাড়ি ভর্তি করে লোক পাঠানো’।
বাগুইআটি থানাকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘বাগুইআটি পুলিশের একটাই কাজ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তাঁর ভাইপো চার্টার্ড ফ্লাইট ধরতে কখন এয়ারপোর্ট যাবেন আর কখন এয়ারপোর্ট থেকে বেরোবেন তখন দড়ি দিয়ে রাস্তা ঘেরো। আর পিসি - ভাইপোকে সুন্দর করে যাতায়াত করাও। তাই চুরি - ডাকাতি - অপহরণ যা খুশি হতে পারে। লাইসেন্স দেওয়া আছে। সাত খুন মাফ হবে যদি ভাইপোর কোম্পানির দেবরাজের ক্লাবের সদস্য হয়ে থাকেন। তাহলেই সাতখুন মাফ’।
এর পরই বাগুইআটি থানার ওসিকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন শুভেন্দু। বলেন, ‘কে আইসি কল্লোল ঘোষ? ভাইপোর PA-কে ২৫ লক্ষ টাকা দিয়ে এই চোর ডাকাত আইসিকে এখানে নিয়ে এসেছিলেন। তার আগে সঞ্জয় ঘোষ ছিল। বিধানসভা ভোটের আগে এই কল্লোলকে এখানে আনা হয়েছে যাতে ভোট লুঠ করে যাতে এখান থেকে শমীক ভট্টাচার্যের মতো একজন রত্নকে - সম্পদকে পরাস্ত করে চাটুকারকে নির্বাচিত করে তোলামুলের কোম্পানিকে রাখা যায়। তাই সঞ্জয় ঘোষকে সরিয়ে কল্লোল ঘোষকে আনা হয়’।
গত ২২ অগাস্ট অপহরণের পর খুন করা হয় বাগুইআটির জগৎপুরের ২ কিশোর অতনু দে ও অভিষেক নস্করকে। ২৪ অগাস্ট উদ্ধার হয় দেহ। ১২ দিন পর মঙ্গলবার পুলিশ জানায় সেই দেহের খোঁজ পায় বাগুইআটি থানা। এই ঘটনায় তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে পরিবার।