এবার জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় তিহাড় জেল থেকে মুক্তি পাবেন অনুব্রত। তবে বেশ কয়েকটি শর্ত রাখা হয়েছে অনুব্রতর জন্য । দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট থেকে গরু পাচার মামলায় জামিন পেলেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট মণ্ডল। ১০ লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন পেলেন তিনি। সব দিক ঠিক থাকলেই এবার পুজোয় বীরভূমেই থাকতে পারবেন তিনি। জেল খানার ভেতর থেকে ঢাকের বোল শুনে বীরভূমের জন্য মন কাঁদবে এমনটা আর নয়। এর আগে তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলও জামিন পেয়েছিলেন। এবার জামিন পাচ্ছেন অনুব্রত।
এদিকে অনুব্রতর জামিন পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বীরভূমের তৃণমূলের অন্দরে খুশির হাওয়া। অনেকেই ফোনাফুনি শুরু করেছেন। ২০২২ সালের ১১ অগস্ট গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। একই মামলায় ১৬ নভেম্বর তাকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। সেবার একেবারে বীরভূমের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। সিবিআইয়ের পর এবার ইডির মামলাতেও জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল।
বাবা ও মেয়ে উভয়েই থাকতেন তিহাড় জেলে। কন্যা ১০ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছেন। এবার মুক্তি পেতে চলেছেন বাবাও। এদিকে অনুব্রতর মুক্তির ঘটনা কার্যত রাজ্য রাজনীতিতেও শোরগোল ফেলে দিয়েছে। তিহাড় থেকে মুক্তি পাবেন তিনি।
তবে মুক্তির ক্ষেত্রে একাধিক শর্ত আরোপ করা হয়েছে। পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। মোবাইল নম্বর ইডির কাছে জমা দিতে হবে। সাক্ষীকে তিনি ভয় দেখাতে পারবেন না। সম্ভবত সোমবার তিনি তিহাড় থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন।
এর আগে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্য। এবার মুক্তি পেলেন গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল। এর জেরে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তি ফিরেছে তৃণমূলের অন্দরে। তবে এবার বীরভূমে ফেরার পরে অনুব্রত মণ্ডল কতটা দাপটের সঙ্গে রাজনীতি করেন সেটাও দেখার।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এর আগে একের পর এক দুর্নীতির মামলায় জেলে অন্দরে চলে গিয়েছিলেন তৃণমূলের একের পর এক দাপুটে নেতা, মন্ত্রী বিধায়করা। তবে এবার সেই নেতারা একে একে বেরিয়ে আসছেন জেল থেকে। একদিকে আরজি কর নিয়ে যখন অস্বস্তিতে তৃণমূল তখনই পুজোর আগে এই জেল মুক্তির খবর তৃণমূলের অন্দরে আনছে পরম স্বস্তি।