শোভনের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া নিয়ে জল্পনার মধ্যেই নবান্নে বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি ঘিরে শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নবান্নে পৌঁছন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী। এর পরই জল্পনা ছড়িয়েছে, তবে কি শোভনের মান ভাঙাতে কি ময়দানে নামলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত সপ্তাহে বেহালা পূর্ব বিধানসভে কেন্দ্রের তৃণমূলের সংগঠনের দায়িত্ব রত্না দাসের হাতে তুলে দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর পরই দ্রুত বদলাতে থাকে পরিস্থিতি। রত্নাকে তৃণমূলের দায়িত্ব দেওয়ায় পালটা ময়দানে নামতে তৎপর হন শোভন। বিজেপির হয়ে ময়দানে নামবেন বলে মনস্থও করে ফেলেন তিনি।
এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হাজির হন বৈশাখি। জানিয়ে দেন, রত্না দাসের সঙ্গে এক মঞ্চে শোভনবাবুর রাজনীতি করা সম্ভব নয়। ফলে বিজেপিতে সক্রিয় হওয়া ছাড়া উপায় নেই তাঁর। রত্নাদেবীকে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করেন তিনি।
তৃণমূলের তরফে পার্থবাবু জানিয়েছিলেন, শোভনকে দলে ফিরতে গেলে কথা বলতে হবে তাঁকেই। তাঁর কোনও প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলবে না দল। যদিও এদিন নবান্নে বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ওদিকে বৃহস্পতিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, শোভনবাবুর ভবিষ্যৎ আমি বলতে পারব না। আমি গণৎকার নই।