ছায়াযুদ্ধ চলছিল পুলিশের সঙ্গে। অনুমতি না পেলেও মিছিলের হুঁশিয়ারি দিচ্ছিল বিজেপি। তারইমধ্যে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোঁসায় চূড়ান্ত অস্বস্তিতে পড়ে গেল গেরুয়া শিবির। আমন্ত্রণ না জানানোয় মিছিলে যাবেন না বলে জানিয়েছেন বৈশাখী। যদিও বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের প্রশ্ন, আর কীভাবে আমন্ত্রণ জানানো হবে?
বিজেপির কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষক শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রত্যাবর্তনের মিছিলের কয়েক ঘণ্টা আগে বৈশাখী জানান, তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তাই মিছিলে যাচ্ছেন না। বৈশাখীর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে রাজ্য বিজেপির তরফে শোভনের বান্ধবীর কাছে ফোন এসেছিল। তাতে নাকি জানানো হয়েছে, মিছিল হতে চলেছে পুরোপুরি শোভনের। তাই সোমবারের মিছিলে বিজেপির কলকাতা জোনের সহ-আহ্বায়ক বৈশাখীর যোগ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তারপরেই বৈশাখী মিছিলে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
যদিও বিজেপির একাংশের দাবি, বৈশাখীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বিজেপি নেতা রাকেশ দাবি করেন, রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত গোলপার্কে শোভনের বাড়িতে ছিলেন। যেখানে ছিলেন শঙ্কুদেব পণ্ডা, দেবজিত্ সরকাররা। সেখানেও বৈশাখীকে মিছিলে আসার কথা বলা হয়েছিল। রাজ্যে বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও নাকি তাঁকে মিছিলে থাকতে বলেছিলেন। রাকেশের প্রশ্ন, ‘কীভাবে আমন্ত্রণ জানানো হবে?’ কৈলাস অবশ্য নিজে সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বিষয়টি জেলাস্তরের নেতারা দেখছেন বলে বৈশাখী-প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন কৈলাস।
বৈশাখী না যাওয়ায় বিজেপির মিছিল ঘিরেও জটিলতা তৈরি হয়েছে। কারণ বৈশাখী আমন্ত্রণ না পাওয়ায় বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দেননি শোভন। এবারও বৈশাখীকে ছাড়া কি শোভন মিছিল করবেন কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।