মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক শিশুর। খাস কলকাতায় এমন ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। বাড়ির লোকজনের আড়ালে দুটি শিশু খেলা করছিল। সেখানেই ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। যার কবলে পড়ে শিশু। সাততলা থেকে একেবারে নীচে পড়ে মৃত্যু হল ওই শিশুর। শনিবার রাতে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বালিগঞ্জের সেনা আবাসন লাগোয়া পরিচারক কোয়ার্টারে। গোটা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দুটি শিশু একা একা খেলছিল। আর কেউ খেয়াল রাখল না?
স্থানীয় সূত্রে খবর, বালিগঞ্জ এলাকায় সেনা অফিসারদের আবাসন রয়েছে। তার ঠিক লাগোয়া রয়েছে ওই অফিসারদের পরিচারকদের আবাসন। সুতরাং সেনা আবাসনের কাজের সঙ্গে যুক্ত এখানকার পরিচারকরা। গতকাল শনিবার রাতে দুই ভাইবোন পরিচারকদের আবাসনের সিঁড়িতে খেলা করছিল। দুই ভাইবোন সিঁড়ির রেলিং বেয়ে নীচে নামার খেলায় মত্ত ছিল। এই খেলা সবার অলক্ষ্যে চলছিল কেমন করে? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কারণ এই খেলা খেলতে গিয়েই টাল সামলাতে না পেরে একেবারে সাততলা থেকে নীচে পড়ে যায় শিশুটি। তাতেই মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ‘ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র করার প্রচেষ্টা আটকানো গেল, পুরোপুরি নয়’, বার্তা দিলেন অমর্ত্য সেন
এদিকে খেলার চলছিল বড় ভাই এবং ছোট বোনের মধ্যে। বড় ভাইয়ের বয়স ৭ বছর। আর ছোট বোনের বয়স ৪ বছর। তারা ঘর থেকে বেরিয়ে সিঁড়ির রেলিংকে স্লিপ বানিয়ে উপর থেকে নীচে নামার খেলা খেলছিল বড় ভাই। আর তার পাশেই ছিল ছোট বোন। এই খেলা চলাকালীন হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে রেলিং থেকে পড়ে যায় পাশের ফাঁকা জায়গা দিয়ে একেবারে নীচে। তখন সবাই দৌড়ে এলেও সব শেষ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই শিশুটির। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে বালিগঞ্জে পরিচারকদের আবাসনে। এমন ঘটনা যে ঘটবে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি।
অন্যদিকে ছোট শিশুরা একা খেলছে। তাও আবার এমন বিপজ্জনক খেলা। বাড়ির সদস্যরা তখন কোথায় ছিলেন? উঠছে প্রশ্ন। এই ঘটনার পর পুলিশ থেকে শুরু করে সেনা জওয়ানরা এবং আবাসিকরা ভিড় জমিয়ে দেন। আর সঙ্গে সঙ্গে শিশুকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শিশুটিকে সেখানে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দুই শিশু কেন একা একা বিপজ্জনকভাবে খেলছিল? বাড়ির সদস্যদের এমন ভুল হল কী করে? নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও ঘটনা আছে? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।