পাতৌদির নবাব সইফ আলি খানের ওপর হামলাকারী শরিফউল ইসলাম শেহজাদ বাংলাদেশি নাগরিক। অবশেষে মেনে নিল বাংলাদেশ পুলিশ। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে একাধিক খুনের অভিযোগ রয়েছে বলেও স্বীকার করে নিয়েছেন সেদেশের এক পুলিশ আধিকারিক। যদিও শরিফউলের গ্রেফতারির পর তাকে বাংলাদেশি বলে মানতে অস্বীকার করেছিল একাধিক বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম।
জানা গিয়েছে, শরিফউলের বাড়ি বাংলাদেশের ঝালোকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার রাজাবাড়িয়া গ্রামে হলেও বাবার চাকরির সুবাদে খুলনায় থাকতেন তিনি। খুলনায় থাকাকালীনই নানা অপরাধমূলক কাজে নাম জড়ায় শরিফউলের। এর জেরে তাকে বেশ কয়েকবার গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০১৭ সালে নলছিটির মোল্লারহাটে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় শরিফউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। এর পর গ্রেফতারি এড়াতে ভারতে অনুপ্রবেশ করে সে। নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুস সালাম বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘শেহেজাদের বিরুদ্ধে নলছিটি থানায় ও ঢাকায় খুনের অভিযোগ রয়েছে। সে একাধিক ছিনতাইয়েও জড়িত। তবে এব্যাপারে কী পদক্ষেপ করা হবে সেব্যাপারে কোনও নির্দেশ এখনও থানায় এসে পৌঁছয়নি।’
গত বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মুম্বইয়ের বান্দ্রায় নিজের বিলাসবহুল আবাসনে আততায়ীর হাতে আক্রান্ত হন নবাব সইফ আলি খান। তাকে ছুরি দিয়ে একাধিক আঘাত করে আততায়ী। ঘটনার প্রায় ৭২ ঘণ্টার পর মহারাষ্ট্রের ঠানে থেকে আততায়ী শরিফউলকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। প্রথমে নিজেকে কলকাতার বাসিন্দা বলে দাবি করে ধৃত। অবশেষে তার কাছ থেকে বাংলাদেশি বার্থ সার্টিফিকেট উদ্ধার হয়। এর পর পুলিশ জানায় ধৃত শরিফউল একজন বাংলাদেশি।